শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে জেলা বিএনপির প্রেস বিজ্ঞপ্তি
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে শেরপুর জেলা বিএনপি। সোমবার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হজরত আলীর যৌথ স্বাক্ষরে ওই বিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত ২১ আগস্ট শেরপুর প্রেসক্লাবের কাকন রেজাকে সভাপতি ও মাসুদ হাসান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির নেতারাসহ আমরা কেউ অবগত নই। জেলার সকল সাংবাদিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি সুন্দর ও শক্তিশালী কমিটি গঠন করার আউবান জানান।’
শেরপুর প্রেসক্লাব সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ২১ আগস্ট শেরপুর প্রেসক্লাবের কয়েক জন সাংবাদিক গোপনে বৈঠক করে সৈরাচারী কায়দায় ২২ সদস্য বিশিষ্ট নিয়মবহির্ভূত একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করেন। প্রেসক্লাব নিয়ে আদালতে মামলা থাকার পরেও গুটি কয়েকজন সাংবাদিক প্রেসক্লাবের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। নিয়মবহির্ভূত এই কমিটি ২২ তারিখ সকালে প্রকাশ হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু করে জেলার মাঠ পর্যায়ে কর্মরত প্রায় শতাধিক গনমাধ্যমকর্মী। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।
পরবর্তীতে কমিটির বাইরে থাকা শতাধিক সাংবাদিক ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে বিষয়টি অবগত করেন। পরে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সাংবাদিকদের আশ্বস্থ্য করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হজরত আলী বলেন, আন্দোলনরত সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমি জানতে পারি, গনতান্ত্রিক উপায়ে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন না করে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিক মিলে প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন করেছে। এটা করাতে শেরপুর জেলার বহু সাংবাদিক আন্দোলন শুরু করে দেয় এবং এতে বিএনপি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। যেহেতু বিএনপির নাম করে তারা এই কমিটি করেছে তাই আমরা সভাপতি সাধারন সম্পাদক মিলে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি।
প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জ্বল বলেন, প্রেসক্লাব নিয়ে বিবাদমান দুটি গ্রুপের আদালতে মামলা থাকার পরেও দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে কতিপয় সাংবাদিক চড় দখলের মতো প্রেসক্লাবের তালা ভেঙে প্রবেশ করা এবং কমিটি গঠন করা আদালত অবমাননার শামিল। বিএনপি এ-ই বিষয়টি নিয়ে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সেটি সময়পযোগী সিদ্ধান্ত।
