শেরপুরে অনিয়মের অভিযোগে ১৯ কোটি টাকার ব্রিজের কাজ স্থগিতের নির্দেশ দিলেন হুইপ আতিক

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
রবি, 05.07.2020 - 02:55 AM
Share icon
Image

 সময় ডেস্ক নিউজঃ শেরপুরে ১৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি ব্রিজের কাজ নিম্নমানের কাজের অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক। শনিবার সকাল ১১টায় সরজমিনে নির্মাণ সামগ্রী পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে এই নির্দেশনা দেন।

শেরপুর বনগাঁও-জামালপুর মহাসড়কের সদর উপজেলার নন্দীর বাজার নামক স্থানে দুইটি কজওয়ের উপর সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তি স্থাপনকালে এলাকাবাসী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে ব্রিজটির নির্মাণকাজ সম্পর্কে অভিযোগ জানান। পরে সেতুর কাজ উদ্বোধন শেষে হুইপ আতিক সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিম্নমানের পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ এবং কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

অভিযোগ আছে মেসার্স মোজাহার এন্টার প্রাইস প্রাইভেট লিমিটেডের ঠিকাদার শেরপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান হাবিব ও সাব-অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আজাহারুল ইসলাম আজাদের যোগসাজসে শুরু থেকেই ব্রিজের পাইলিংয়ের কাজে নিম্নমানের লোকাল মরা পাথর ও সাবেক রাস্তার ঢালাই উঠিয়ে খোয়া তৈরি করে কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্থানীয় সংবাদকর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে হুইপ আতিক নিজে পাথর ও খোয়া পরীক্ষা করে অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে কাজ স্থগিতের নির্দেশ দিলে নির্বাহী প্রকৌশলী কাজ বন্ধ করে দেন।

শেরপুর সড়ক বিভাগ জানায়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নিজস্ব অর্থায়নে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫২ মিটার দৈর্ঘ দুটি কজওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে সড়ক বিভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যার পানি প্রবাহিত হলে বছরের তিন মাস শেরপুর-জামালপুর মহাসড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। দুটি কজওয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হলে রৌমারী, রাজিবপুর, বকশীগঞ্জ ও শেরপুর জেলা শহর থেকে জামালপুর হয়ে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু হয়ে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে।

হুইপ আতিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমাবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান সরকার এই করোনা মহামারির সময়েও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। তিনি সরকারি অর্থ দিয়ে নির্মিত এই কজওয়ে সেতুতে যাতে কোনো অবস্থায় দুর্নীতি না হয় সে ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

এ ব্যপারে মোজাহার এন্টার প্রাইস প্রাইভেট লিমিটেডের ঠিকাদার প্রতিনিধি শামিম মিয়া জানান, এলসি পাথর না থাকায় সিলেটের পাথর তারা ব্যবহার করছেন। তবে পুরাতন রাস্তা ভেঙে খোয়া ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেন।

এদিকে কাজের অনিয়ম নিয়ে শেরপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান হাবিব বলেন, আমরা এই সব নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করতে দিবো না এবং তার সঙ্গে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কোনো যোগসাজস হয়নি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমরা সাইটে রাখা সব পাথর বাতিল করবো এবং মানসম্পন্ন পাথর দিয়ে কাজ করানো হবে।

Share icon