শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গণশৌচাগার ভেঙ্গে জায়গা বেদখলের অভিযোগ
মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া বাজারের গণশৌচাগার ভেঙ্গে জায়গা বেদখলের অভিযোগ উঠেছে। গণশৌচাগার ভেঙ্গে জায়গা বেদখল করছেন পাইকুড়া এআরপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর নবী। এ অভিযোগ ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ এর।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে এবং এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাইকুড়া বাজারে আসা জন সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতাদের দাবীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন খাঁন হাট বাজার ইজারার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যায়ে পাইকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের বাহিরে মালিঝি নদীর কিনারায় মাটি ভরাট করে একটি গণশৌচাগার নির্মাণ করেন। এটি নির্মাণের পর থেকে বাজারের সকল ক্রেতা বিক্রেতাগণ সেটি ব্যবহার করে আসছেন।
অপরদিকে ২১মে শুক্রবার সকালে জায়গাটি বিদ্যালয়ের দাবী করে পাইকুড়া এআরপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর নবীর নেতৃত্বে বহিরাগত লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের টাকায় নির্মাণ করা গণশৌচাগারটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে তার উপর মাটি ভরাট করে।
ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের বাঁধা উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের জায়গা দাবি করে মাটি ভরাট অব্যাহত রাখেন প্রধান শিক্ষক নুর নবী।
ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাছেন আলী, পাইকুড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম কালা খাঁন, সোবহান আলী সহ আরো অনেকে জানান, গণশৌচাগারের জায়গাটি মালিঝি নদীর, যাহা খাঁস জমি। এই গণশৌচাগারটি প্রধান শিক্ষক নুর নবী তার শক্তিবলে ব্যক্তিগত স্বার্থে ভেঙ্গে ফেলায় বাজারবাসীদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেললেন, যাহা কোন ভাবেই কাম্য নয়।
এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন খাঁন, ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বাজারবাসীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে মালিঝি নদীর তীরে সরকারের খাঁস জমিতে ইউনিয়ন পরিষদের টাকায় এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। জনগণকে দূর্ভোগে ফেলে এটি ভেঙ্গে ফেলা উচিৎ হয়নি।
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে পাইকুড়া এআরপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর নবী জানান, এটি বিদ্যালয়ের জমি। বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে আমি তা ভেঙ্গে মাটি ভরাট করছি, যাহা বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন সাহেব জানেন।
বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বাজারবাসীদের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।