পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলা সদরসহ ২০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
গত তিনদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলার মহারশী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন অফিস, বাজার এলাকা এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহারশী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার সদর বাজার, উপজেলা পরিষদ চত্বর ও আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়। এছাড়া উপজেলার মহারশী এবং সোমেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর, ধানাশাইল, গৌরীপুর, হাতিবান্দা ও মালিঝিকান্দাসহ ৫ ইউনিয়নের ২০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এসব এলাকার রামেরকুড়া, দিঘীর পাড়, চতল এর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে উপজেলা সদর এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিভিন্ন সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে উজানের মেঘালয়ের বিভিন্ন পাহাড়ি নদীর বৃদ্ধি পাওয়ায় পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলের কিছু আউশ এর বিজতলা এবং সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়-ক্ষতির নিরুপন হয়নি।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ জানিয়েছেন, সকাল থেকে পানি আসতে শুরু করেছে। উপজেলা পরিষদে পানি উঠায় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।