শেরপুরে দীর্ঘ ১৫ বছর পর কোটি টাকার জমি বুঝিয়ে দিলেন আদালত

স্টাফ রিপোর্টার
বৃহস্পতি, 30.05.2024 - 07:43 PM
Share icon
Image

শেরপুরে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জমি নিয়ে মামলা চলার পর অবশেষে আদালতের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার ৩৩ শতাংশ জমি বুঝে পেলো এক পরিবার। পৌর শহরের সজবরখিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ৩০ মে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে এই উচ্ছেদ কর্মকান্ড। 

ওই সময় অবৈধ ভাবে দখল করে তৈরি করা পাকা বিল্ডিং ভেকু দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়। এছাড়াও ইটের বাউন্ডারি দিয়ে দখল করে রাখা জমিতে খুটি পুতে লাল কাপড় ঝুলিয়ে দেয় আদালত। শহরের
সজবরখিলার প্রধান সড়কের একটি প্লট সহ মোট ৪টি প্লটে চালানো হয় ওই উচ্ছেদ। 

ওইসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনানুগ নির্দেশনা প্রদান ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন শেরপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত জাহান তুলি। 

জানা যায়, ২০০৯ সালে হাফিজুর রহমান সহ ১০জন অংশীদার তাদের জমি বুঝিয়ে পেতে শেরপুর সিনিয়র সহকারী জজের আদালতে ২০০৯ সালে একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দখলদার সাজু মন্ডল, জুয়েল সহ মোট ২২ জনকে বিবাদী করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে আদালতে চলে বিচারকার্য। অবশেষে আদালত ২০২৩ সালে বাদীর পক্ষে রায় দেন। পরবর্তীকালে আদালত তাদের জমি বুঝিয়ে দিতে আজকের সময় নির্ধারন করে। এরই প্রেক্ষিতে আজ ঘটনাস্থল থেকে বিবাদীদের সকল স্থাপনা ভেঙ্গে বাদীকে আদালতের নির্দেশনায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়। 

বাদী হাফিজুর রহমান বলেন, তারা জোর করে আমাদের জমি দখল করে ভোগ করে আসছিলেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর আদালত থেকে লোকজন এসে আমার জমি আমাকে বুঝে দিয়েছে। এতে আমি খুশি। সময় বেশি লাগলেও আদালতে যে ন্যায় বিচার পাওয়া যায় এটা তারই প্রমান। 

তবে বিবাদী পক্ষের লোকজন উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে জুয়েল মিয়া বলেন, এই জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পদ নয় এগুলো আমাদের ক্রয়কৃত সম্পদ। এছাড়াও আমাদের কোন নোটিশ না করেই এসব করা হচ্ছে। আমরা আপিল করে উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার চাইবো। 

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত জাহান তুলি বলেন, বিজ্ঞ আদালতে ডিক্রি জারি মোকদ্দমা ছিলো। সেই মোকদ্দমায় বাদী পক্ষ তাদের পক্ষে রায় পেয়েছে। আদালত থেকে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। আদালতের পক্ষ থেকে যারা ছিলেন তারা বাদী পক্ষকে সীমানা মেপে তাদের জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনানুগ নির্দেশনা প্রদান ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার জন্য আমাকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। আদালতের নির্দেশে সঠিক ভাবে দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। 

​​​​​

Share icon