ঝিনাইদহের মহেশপুরে ইট ভাটা গুলোতে পোড়ানো হচ্ছে হাজার হাজার মন কাঠ, প্রশাসন নিরব !

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
শুক্র, 10.11.2017 - 07:19 PM
Share icon
মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।।  সরকারী আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ ভাবে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার অধিকাংশ ইট ভাটার মালিকরা ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি নিয়ে ইট তৈরির কাজ চালাচ্ছে । ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি হিসেবে হাজার হাজার মন কাঠ জড়ো করলেও প্রশাসন রয়েছেন নিরব । পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই মহেশপুর উপজেলার অধিকাংশ ইট ভাটার মালিক লোকালয়ে এমনকি ফসলি জমির উপর অবৈধ ভাবে ইট ভাটা নির্মান করে হাজার হাজার মণ কাঠ দিয়ে দেদারছে ইট পোড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ।   ইট তৈরি এবং পোড়ানোর আগেই কিছু কিছু ইট ভাটায় স্তুপ করা হচ্ছে খড়ি আর ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি। গাছ কেটে ফেলার কারনে একদিকে পরিবেশ যেমন হুমকির মুখে পড়ছে তেমনি আবাদ যোগ্য জমির টপসয়েল কেটে ফেলায় ফসলিজমি তার উর্বরশক্তি হারাচ্ছে । অপরদিকে সবুজ বেস্টনি উজার করে গাছ কেটে ফেলার কারণে সামাজিকপরিবেশ আজ হুমকির মুখে পড়ছে ।   জানাযায়,চলতি বছরে মহেশপুর উপজেলায় প্রায় ২০টি ইট ভাটা রয়েছে । এরমধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি  ভাটার লাইসেন্স থাকলেও অধিকাংশ ইট ভাটা লাইসেন্স বিহীন চালিয়ে যাচ্ছে ।   সরকারী নীতিমালায় রয়েছে আধুনিক ইট ভাটা স্থাপন করতে হবে এবং কাঠের পরিবর্তে কয়লাদিয়ে ইট পোড়াতেহবে। কিন্তু কয়েকটি ভাটা মালিক তা মানলেও বাকিরা সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুরাতন ফিটচিমনি পদ্ধতি ব্যবহার করছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন সংক্রান্ত কর্মকান্ড আইন থাকলেও অধিকাংশ ভাটা মালিক তা মানছেন না। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল এমনকি সড়কের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে ভাটা স্থাপন সরকারী আইন লঙ্ঘন হলেও অধিকাংশ ভাটা মালিকতা তোয়াক্কা করেনা। ফলে ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া ভাটার কাজে চালিত ফিটনেছ বিহীন গাড়ির ধুলা বালিতে সৃস্টি হচ্ছে নানা রোগন ব্যাধি।   ইট ভাটা তৈরির কারণে যেমন আবাদি জমি নষ্ট হচ্ছে ,তেমনি ইট পোড়াতে ফলজ, বনজ, ওষদি গাছসহ নানা প্রজাতিরগাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। মহেশপুর উপজেলা কৃর্ষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু তালহা বলেন, ইটভাটা তৈরির কারণে দিনদিন কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়াও ভাটা গুলো আবাদি জমির কাছে হওয়ায় ভাটার ধুলাবালি ও ধোঁয়ার কারণে আবাদী জমির ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে । এব্যপারে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সচেতন ব্যাক্তিবর্গ ।
Share icon