শেরপুরের নকলায় সেবা সপ্তাহ উদযাপন

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
বৃহস্পতি, 22.03.2018 - 04:47 PM
Share icon

নকলা (শেরপুর)প্রতিনিধি।। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের সিঁড়ি অতিক্রম করে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার এ ঐতিহাসিক প্রাপ্তিতেআনন্দের জোয়ারে ২০ মার্চ থেকে দেশব্যাপী চলছে সেবা সপ্তাহ উদযাপন ও আনন্দ শোভাযাত্রা দেশব্যাপী প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে, শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা প্রশাসন ও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২২মার্চ বৃহস্পতিবার আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর অংশ হিসেবে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন চত্ত্বর থেকে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কপ্রদক্ষিণ করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব কুমার সরকারের নেতৃত্বে আনন্দ শোভাযাত্রায় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদ-উল-আলম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর, নকলা থানার ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী, বিএডিসি হিমাগার উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম,সিনিয়র পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম, বিআরডিবি কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান, হাজী জালমামুদ কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফর রহামন, উপাধ্যক্ষ আলতাব আলীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিতছিলেন।

এসময় উপজেলার হাজী জালমামুদ কলেজ ও চৌধুরী ছবরুন নেছা মহিলা কলেজ, বঙ্গবন্ধু বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বানেশ্বরদী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা ও মমিনাকান্দা আল-আমিন দাখিল মাদরাসা, গনপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয়, নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নকলা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়সহ দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে শেরপুর সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গণপদ্দী, নকলায় সপ্তাহ ব্যাপী সেবা সপ্তাহ এবং উপজেলার ভূরদী কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার মতো বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে এই সেবা সপ্তাহ পালন করছে। এই সেবা সপ্তাহ ২০ মার্চ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে, আর চলবে ২৬ মার্চ সোমবার পর্যন্ত।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো- স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি। আর এই খবরটি দেশবাসী জানতে পারেন ১৭মার্চ। তাইতো অনেকেই বলেন জাতিসংঘের সিপিডি’র এই স্বীকৃতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্ম দিবসে জাতিসংঘের দেওয়া পুরষ্কার। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি দেয়। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ তিন সূচকে শর্ত পূরণ করতে পারায় বাংলাদেশ এ স্বীকৃতি পায়। সব ঠিক থাকলে অপার সম্ভাবনাময় বিপুল জনগোষ্ঠী ও তথ্যপ্রযুক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যআয়ের আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে, ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হবে এই সোনার বাংলাদেশ, এমনটাই আশা সবার।

Share icon