শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অবৈধ স্থাপনা - রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
শুক্র, 09.10.2020 - 10:55 PM
Share icon
Image

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের গজারীকুড়া ভারুয়া বাজারের সরকারি খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল করে গড়ে উঠেছে মার্কেটসহ পাকা দোকানপাট। এতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা লাভবান হলেও বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

স্থানীয়দের দাবি, বহু বছর ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা খাস জমি দখল করে এসব পাকা মার্কেট গড়ে তুলেছেন। এদিকে উপজেলা প্রশাসন বলছে, খুব শিগগিরই ওই জায়গাটি পেরিফেরীভূক্ত করে অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করা হবে এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলায় প্রায় ১ একর সরকারি খাস জমি দখল করে গড়ে উঠেছে ভারুয়া বাজার। গত কয়েক বছরে বাজারের চারপাশ থেকে সরকারি খাস জায়গা দখল করে ধীরে ধীরে পাকা ও আধাপাকা ভবন গড়ে তুলেছেন প্রভাবশালীরা। কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে দখল করা খাস জমির দখলস্বত্ত¡ মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রিও হচ্ছে। এতে করে ওই প্রভাবশালীরা লাভবান হলেও রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। প্রশাসনের সঠিক নজরদারী না থাকার ফলে সরকারি জমিগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। 

Image

তবে এরপরও দখলদারদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। কিছুদিন আগে এক দখলদারের কাছে আবু তাহের নামে স্থানীয় পশু চিকিৎসক ৫ লক্ষ টাকায় একটি ঘর কিনেছেন। উপজেলা প্রশাসন তার ঘরটি ভেঙে দিলেও বাজারের আরও প্রায় শতাধিক অবৈধ পাকা ঘর নিয়ে মাথা ব্যথা না থাকায় প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।

ক্ষতিগ্রস্ত আবু তাহেরের দাবি, বাজারের এত অবৈধ পাকা ঘরের কোনটিই ভাঙা না হলেও প্রতিহিংসামূলকভাবে শুধু তার ঘরটিই ভাঙা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজসেই বাজারের খাস জমি দখল করে এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

তবে তা অস্বীকার করে নলকুড়া-গৌরীপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মিনাল কান্তি সরকার জানান, সরকারি জায়গা দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে খুব শিগগিরই বাজারটি পেরিফেরীভূক্ত করে সরকারের আওতায় নেওয়া হবে। ভারুয়া বাজারের খাস জমি উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন- এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

Share icon