শেরপুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব
স্টাফ রিপোর্টার॥ সারাদেশের ন্যায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ২৬ অক্টোবর সোমবার শেরপুরে সনাতন ধর্মাবলাম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দূর্গোৎসব শেষ হয়েছে।
বিকেলে বিজয়া দশমীতে শহরের আড়াইআনি পুকুর ঘাটে বিভিন্ন পূজামন্ডপের প্রতিমাগুলো আনার পর সেখানে ধুপ-ধোয়ার আড়তি, ঢাকের বাদ্যি আর উলুধ্বনিতে বিসর্জন দেওয়া হয়। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের পদভারে ওই এলাকা লোকে-লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ আতিউর রহমান আতিক দলীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ আতিক বলেন," ধর্ম যার যার উৎসব সবার, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক দেশ বাংলাদেশ। করোনার কারণে উৎসব না হলেও, শান্তি শৃংখলার মধ্যে শুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত হয়েছে সকলের আন্তরিকার কারণে। এবারই প্রথম পুজা মন্ডপে পুলিশ- আনসার ছিল না। বাংলার মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে হিন্দু - মুসলিম ভাই ভাই। আমাদের মাঝে কোন বিরোধ নাই। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চন্দন পাল উপস্থিত সকলকে শ্বারদীয় শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানান।
শহরের ৬টি পূজামণ্ডপকে সুন্দর আয়োজনের জন্য হুইপ আতিক তার ব্যক্তিগত তহবিল হতে সুন্দর প্রতিমা ও সাজ সজ্জার জন্য পুরস্কার ঘোষানা করেছিলেন, ১ম পুরস্কার ৬০ হাজার টাকা, ২য় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা এবং ৩য় পুস্কার ৪০ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে পুরস্কারের ফলাফল ঘোষনা করেন হুইপ আতিক তাতে প্রথম হয়েছে কৃষ্ঞ সংঘ, মাধবপুর, দ্বিতীয় ফ্রেন্ডস ক্লাব, বটতলা, যুন্মভাবে তৃতীয় হয়েছে বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাব এবং শ্রীশ্রী ভবতারা কালী মন্দির, নয়আনী বাজার।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার হিসাব মতে, এবার জেলায় ১৪২টি পূজামন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপিত হয়।