শেরপুরে পালিত হলো ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসব
স্টাফ রিপোর্টারঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বার্ষিক ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসব। করোনার কারণে দুইদিনের অনুষ্ঠান মাত্র ছয় ঘণ্টায় শেষ করতে শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় আলোক শোভাযাত্রা ও সাড়ে এগারোটায় খ্রিস্টযাগের (বিশেষ প্রার্থনা) মধ্যে দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ তীর্থে প্রতিবছর দেশ বিদেশের প্রায় ৫০ হাজার পূণ্যার্থী অংশগ্রহণ করলেও এবার প্রতিটি ধর্মপ্রদেশের ধর্মপল্লী থেকে মাত্র ১২ জন করে প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।
আয়োজকদের তথ্যমতে, সকালে তীর্থস্থানের মা মারিয়ার মূর্তির পাদদেশে স্থাপিত প্রার্থনা মঞ্চে পাপ স্বীকার, আলোক শোভাযাত্রা এবং পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তীর্থ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পরে দুপুরে জীবন্ত ক্রুশের পথ পরিভ্রমণ ও দুপুরে মহাখ্রিস্টযাগের (সমাপনী প্রার্থনা) মাধ্যমে এ তীর্থ উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লী। ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশের প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ গমেজ ১৯৯৮ সালে এ ধর্মপল্লীকে ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থান হিসেবে ঘোষণা করেন।
এখানে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে ও অনুকরণে পাহাড় ঘেরা মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা হয় ‘ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান’।
সেই থেকে খ্রিস্টমণ্ডলীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন শ্লোগানের উপর ভিত্তি করে এখানে অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।