শেরপুরে পৌর নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আধারের সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টারঃ চতুর্থ দফায় অনুষ্ঠিত শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে দলীয় প্রভাব, পেশীশক্তির মহড়া, কেন্দ্রে কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দিয়ে ভোটারদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে নৌকায় ভোট আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার।
১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে শহরের জেলা কারাগার মোড়স্থ নিজের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন তিনি।
সেইসাথে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের ব্যর্থতারও অভিযোগ তুলে এখানে মেয়র পদে নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখান করেন।
এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার অভিযোগ করে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ভোটারদের ঘরে ঘরে পেঁৗছে যেভাবে আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন, কেবল নানা অনিয়মের কারণে ভোটাররা তাদের নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে না পারায় ভোটের হিসেবে তার প্রতিফলন ঘটেনি।
তদুপরি তিনি তার শতশত কর্মী-সমর্থকসহ আপামর ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই শহরের মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কসবা আল ফালাহ ইসলামী একাডেমি ও মীরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে তার জগ প্রতীকের এজেন্টদের মারপিট করে বের করে দেওয়া হয়।
এরপর ওইসব কেন্দ্রে ওই এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার মদদে স্থানীয় ক্যাডাররা কেন্দ্র দখলে নিয়ে ভোটারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পর নৌকায় ভোট আদায় করে নেয়।
একইভাবে আরও ৭টি কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়ে নৌকায় ভোট হাসিল করতে থাকে। এছাড়া বেলা ১১টার পর থেকে আরও ২২টি কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টের নামে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভোট হাসিল করতে থাকে।
তার দাবি, নিজ এলাকা দমদমা ও মোবারকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শতভাগ সুষ্ঠু হলেও ৩টি কেন্দ্রে শতভাগ অনিয়ম এবং ২০টি কেন্দ্রে ৭০-৮০ ভাগ অনিয়ম হয়েছে। আর নিজের ওয়ার্ড ও আত্মীয় এলাকা হওয়া সত্বেও মীরগঞ্জে আমার ভোট দেখানো হয়েছে শূন্য- যা অবিশ্বাস্য।
তার অভিযোগ, কেন্দ্রে কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারসহ দায়িত্বশীলদের জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং তারা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন পরিবেশে ভোটগ্রহণ তথা উদ্ভুত অবস্থা নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছেন।
তিনি আরও দাবি করে বলেন, এবার চতুর্থ দফা পর্যন্ত যতগুলো পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে এ পৌরসভার মধ্যে সর্বাধিক অনিয়ম হয়েছে। তার অভিযোগ, নির্বাচনের পরও তার কমর্ী-সমর্থকদের নানানভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এজন্য তিনি সুষ্ঠু-স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল মহলের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনেরও সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।