শেরপুর পুলিশ লাইন্স একাডেমিতে সম্প্রীতি বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শেরপুর খরমপুরে অবস্থিত পুলিশ লাইন্স একাডেমিতে সম্প্রীতি বিতর্ক-২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে । ২৯শে মার্চ সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই সম্প্রীতি বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সকালে উদ্বোধনী পর্বে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম।
সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ বিল্লাল হোসেন। আইইডি'র প্রোগ্রাম অফিসার শাহ মুহাম্মদ ইমতিয়াজ চৌধুরী শৈবালের সঞ্চালনায় ও প্রকল্প সমন্বয়কারী মানিক পালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রধান করেন ডিএসবির ডিআইও-১ আবুল বাশার মিয়া, শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, পুলিশ লাইন্স একাডেমি ফর ক্রিয়েটিভ এডুকেশন এর প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও শেরপুর ডিসট্রিক্ট ডিবেট ফেডারেশন এর সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বরকত উল্লাহ।
প্রতিযোগিতায় ৬ টি ইউনিয়ন ও শেরপুর পৌরসভার ২ টি দল সহ মোট ৮ টি দল অংশগ্রহণ করে। ফাইনালে শেরপুর পৌরসভা–১ দল শেরপুর পৌরসভা-২ দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেরপুর ডিসট্রিক্ট ডিবেট ফেডারেশন (এসডিডিএফ) এর সভাপতি সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, জনউদ্যোগ শেরপুরের সদস্য সচিব হাকিম বাবুল, এসডিডিএফ এর সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বিডিএফ এর সদস্য সচিব শাহ মুহাম্মদ ইমতিয়াজ চৌধুরী শৈবাল, কবি হাসান শরাফত, এসডিডিএফ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বরকত উল্লাহ, এসডিডিএফ এর সাংগঠনিক সম্পাদক শুভংকর সাহা, সাবেক কর্মশালা বিষয়ক সম্পাদক বিতার্কিক খন্দকার শাহরিয়ার সৌরভ।
সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, 'বিতর্ক ও সম্প্রীতি খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়। সম্প্রীতির অভাবে অনেক দেশের অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্যেও তা কাজে লাগাতে পারে না। যেমন আফ্রিকার অনেক দেশগুলো হিরা সহ বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদে ভরপুর। কিন্তু আফ্রিকার দেশগুলোই সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্য পিরীত। যার মূল কারণ ঐ অঞ্চলে সম্প্রীতির অভাব। আবার বিতর্কের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত চিন্তা করার ক্ষমতা অর্জন করে। যা তাকে অন্যদের প্রতি সহনশীল করে তুলে। তাই সম্প্রীতি ও বিতর্ক একসূত্রে গাঁথা।
আমি আশাকরি আজকের এই আয়োজনের অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকরা ভবিষ্যতে একটি সুন্দর সম্প্রীতির উন্নত বাংলাদেশ তৈরি করবে।'
উদ্বোধনী পর্বে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম বলেন,'যারা বিতর্ক করে তারা মেধার চার্চা করে। আমি আশাকরি এই ক্ষুদে বিতার্কিকরা একদিন মেধার দ্বারা একটা সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।'
সনাতনী পদ্ধতিতে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ৮ টি দলের ২৪ জন বিতার্কিক অংশগ্রহণ করে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থবিধি মেনে প্রায় শতাধিক দর্শক বিতর্ক উৎসবটি উপভোগ করে। সমাপনী পর্ব শেষে প্রধান অতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ সহ অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।