শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের পানি কমলেও প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল
শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলার মহারশি নদীর পানি কমতে শুরম্ন করায় উপজেলা সদর থেকে পানি নামতে শুরম্ন করেছে। তবে এই পানি গড়িয়ে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উজানে ভারতের মেঘালয়ের বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের শেরপুরের ঝিনাইগাতি, শ্রীবর্দী এবং নালিতাবাড়ির উপরদিয়ে বয়ে যাওয়া মহারিশ, ভোগাই ও চেলস্নাখালি নদীতে পাহাড়ি ঢল নামে। ফলে ঝিনাইগাতি উপজেলা সদরের বিভিন্ন কার্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়ি এবং বিভিন্ন সবজি বাগান গুলো পানিতে তলিয়ে যায়।
এঘটানার পর থেকেই জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ঢলের পানির সার্বিক পর্যবেÿণে রেখেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলা সদরের পানি নামতে শুরম্ন করলেও উপজেলার ভাটি বা নিম্নাঞ্চলে পানি নামার কারণে ওই এলাকার ফসলি জমি ও বাড়ি-ঘরে পানি উঠতে শুরম্ন করেছে।
ঢলের পানির বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী শাহাজাহান মিয়া জানায়, ভারতের মেঘালয়ে গত বুধবার ১৫০ মিলিমিটার রেকর্ড পরিমানের বৃষ্টিপাত হয়েছে। যারফলে ওই পানির ঢলে বাংলাদেশের আমাদের এই জেলার বিভিন্ন নদীতে উপচে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এ ঢলের স্মৃষ্টি হয়েছে।
তবে কাল রাত থেকেই পানি কমতে শুরম্ন করেছে। আসলে ঝিনাইগাতি উপজেলার মহারশি নদী তুলনামূলক ভাবে চাপা হওয়ায় উজানের পানির চাপ ধরে রাখতে পারে না বিধায় প্রতি বছরই বাঁধ ভাঙন এবং নদী উপচে পানি প্রহাবিত হয়। তবে আজ সকাল থেকে প্রায় আড়াই মিটার পানি নেমে গেছে।