নালিতাবাড়ীতে আসন্ন কোরবানী হাটের সেরা আকর্ষণ ময়না-রবি
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আসন্ন কোরবানীর ঈদে হাট কাঁপাতে আসছে ময়না ও রবি নামের দুটি ষাড় গরু। উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারমারী এলাকার বুরুঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামের খামারী আব্দুস সালামের খামারে পালিত হচ্ছে ওই ষাড় দুটি।
ইতোমধেই ষাড় দুটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে ভীড় করছেন। ৩ বছর বয়সী ৮০০ কেজি ওজনের ময়না ও আড়াই বছর বয়সী ৪৪০ কেজি ওজনের রবি নামের ষাড় দুটি এ পর্যন্ত উপজেলার সর্বোচ্চ ওজনের ষাড় বলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সুত্র জানায়।
জানা গেছে, উপজেলার গরুর খামারী আঃ সালাম নিজ উদ্যোগে ২০১৯ সালে ওমান প্রবাস থেকে বাংলাদেশে এসে ৫টি গরু দিয়ে ছোট পশু খামার গড়ে তুলেন। আস্তে আস্তে বিক্রিবাদে এখন তার খামারে ৪টি ষাড়, ৪টি গাভী, ৪টি বাছুর ও ২টি বকনাসহ মোট ১৪টি গরু রয়েছে।
আসন্ন কোরবানীর ঈদে ক্রেতাদের চাহিদা পুরনে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে নেপালী জাতের ৮০০ কেজি ওজনের ময়না, শাহী ওয়াল জাতের ৪৪০ কেজি ওজনের রবি ও ফ্রিজিয়ান ক্রস জাতের ২৮০ কেজি ওজনের ২টি ষাড়সহ মোট ৪টি ষাড়।
খামারী আঃ সালাম বলেন, তার খামারের প্রধান আকর্ষন ও উপজেলার সব চেয়ে বড় ষাড় ময়নার পেছনে প্রতিদিন খড়, কুড়া, ঘাস ও ভুসিসহ প্রায় ৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আর রবির পেছনে খরচ হচ্ছে ৪০০ টাকা করে। পশু খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারনে এসব ষাড়ের উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে। বর্তমান বাজার দরে ন্যায্য মুল্যে তিনি এই ষাড়গুলো নিজ বাড়ী থেকেই বিক্রি করতে চান।
এবিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মতিউর রহমান জানান, সালামের খামার পরিদর্শন করেছি। তিনি যাতে পশুপালন করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন এজন্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় থেকে সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।