শেরপুরে বন্যার্তদের মাঝে পচা দুর্গন্ধযুক্ত চাল বিতরণের অভিযোগ
শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় পরিষদ ও শেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে উপজেলার ২৭০ জন বন্যার্তের মাঝে প্রতিজনকে ৫ কেজি করে চাল, আধালিটার সয়াবিন তেল, আধাকেজি মসুরডাল ও ২ কেজি করে আলু বিতরণ করা হয়। ২৭ জুন সোমবার বিকালে ঝিনাইগাতি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ওই ত্রাণসামগ্রী দেয়া হয়।
কিন্তু ওই ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল দেয়া হয়েছে বলে তাৎক্ষণিক ত্রাণপ্রাপ্তরা ঘটনাস্থলেই প্রতিবাদ করে স্থানীয় আয়োজকসহ বিভিন্ন সংবাদকর্মীকে প্যাকেট খুলে দেখান।
এ সময় ঝিনাইগাতি ইউনিয়ন ও নলকাড়া ইউনিয়নের বেশ কজন ত্রাণপ্রাপ্ত মহিলা, পুরুষ ও শিশু জানায়, ‘এই পচা চাল দিয়ে আমগো গরিবদের সাথে তামশা করলো। এই চাইল খাওন যাবো না, এইটা দেয়ার কি দরকার আছিলো।’
এ সময় পচা চাল নিয়ে আয়োজকদের সাথে দেখা করলে তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। তবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটা খাওয়া যাবে, পচা নয়।
কিন্তু ত্রাণপ্রাপ্তদের অভিযোগ, আয়োজকরা কর্ণপাত না করলে এক পর্যায়ে তারা ওই পচা চাল নিয়েই চলে যেতে বাধ্য হন।
এদিকে ঝিনাইগাতি উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার হযরত আলী জানান, নকলনবিস জাকারিয়াকে চাল কেনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে জাকারিয়া জানান, আমাদের বাজেট অনুযায়ী ৪২ টাকা দরের চাল কেনা হয়েছে।
তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ইচ্ছে করেই তারা চাল কিনেছে ৩৬ টাকা কেজি দরের তুলনামূলক নিম্ন মানের চাল। আর বিল-ভাউচারে দেখানো হয়েছে ৪২ টাকা কেজি দরে।
পচা চাল দিয়ে ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দিন জানান, চালগুলো নিম্ন মানের ছিলো এটা সঠিক, তবে চাল কেনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল উপজেলা রেজিস্ট্রারকে।