পিঠা প্রদর্শনী্র উৎসবে মেতেছে শেরপুর নার্সিং ইনস্টিটিউট
শীত এলেই গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা তৈরির ধুম। বাঙালির শীতের পিঠা ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে শেরপুর নার্সিং ইনস্টিটিউট আয়োজন করেছিল দিনব্যাপ পিঠা প্রদর্শনী্। ২৮ জানুয়ারি শনিবার সকালে শেরপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে পিঠা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্স সাবজেক্টের উপর এ পিঠা প্রদর্শন করা হয়।
পিঠা প্রদর্শনীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএমএর শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ এম এ বারেক তোতা, স্বাচিপ শেরপুর জেলার সভাপতি ডাঃ মোঃ মামুন জোস, বিএমএ ও স্বাচিপ শেরপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ নাদিম হাসান, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার খায়রুল কবীর সুমন, চন্দ্রকোনা কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক আলিমুল ইসলাম প্রমূখ।
পিঠা উৎসবে নানা রঙ ও ঢংয়ের বাহারি পিঠার মোট ৫ টি স্টল ছিলো। স্টলগুলোর বাহারি ফুলের নামে বিশেষ করে কেয়া, মাধবীলতা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, ক্যামেলীয়া, হাসনাহেনা, অপরাজিতাসহ নানা বাহারি নাম। আরও ছিলো হৃদয় হরণ, দুধ চিতই, সাগুর লস্করা, নয়নতারা, ডালের বরফি, হেয়ালি পিঠা, পাটিসাপটা, নারকেল পুলি, দুধ পুলি, তালের পিঠা, মাছ পিঠা, মালপোয়া, ঝালপোয়া, সুজির পিঠা, মাংসের সমুচা, ডিম পিঠা, মুগ পাকান, পুডিং, পায়েস, পানতোয়াসহ প্রায় ২ হাজার রকমের বাহারি নামের পিঠা প্রদর্শিত হয়।
দিনব্যাপী এ উৎসবে হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্টলের নানা রকম বাহারি পিঠার মজা উপভোগ করেন। পিঠা উৎসবের এ সময়টা যেন মিলন মেলায় পরিনত হয়।
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা সম্পর্কে পরিচিত করতে আমাদের এ উদ্যোগ। শেরপুর জেলার প্রতিটি দপ্তর প্রধান পিঠা উৎসবের আয়োজন করবে বলে আমি আশা করি।
পিঠা প্রদর্শনীর আয়োজক শেরপুর নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ গোলাম রব্বানী জানান, প্রতিবছরের ন্যায় নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনীর মাধ্যমে ফুড ফেয়ার ও পিঠা উৎসবের মাধ্যেমে পরীক্ষার নাম্বার প্রদান করা হয় এবং এটা তাদের এক ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
ওই হাসপাতালের ডাক্তার ও দর্শনার্থীরা জানান, পিঠার গুণগতমান অনেক ভালো। পিঠা প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির বিশেষ ধারা এখানে ফুটেছে।
প্রদর্শনী্র শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা বিভিন্ন পুস্টিকর খাবারের গুনাগুন জানার জন্য এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করে থাকি। এটার মাধ্যমে আমাদের পরীক্ষায় নাম্বার দেওয়া হয় এবং আমরা বাস্তব পিঠা বানানো শিখতে পারি।