শেরপুরে কোটা বিরোধী আন্দোলনে আহত-৩০, পুলিশ-১০, গাড়ি ভাঙচুর, রণক্ষেত্র শহর

স্টাফ রিপোর্টার
বুধ, 17.07.2024 - 11:02 PM
Share icon
Image

শেরপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের ত্রীমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। এতে ৩০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ১০ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। এসময় শফিকুল ইসলাম নামে পুলিশের এক নায়েক গুরুতর আহত হন। তিনি  সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করার সময় হঠাৎ তার হাতেই তা বিস্ফোরণ হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

পাঁচ ঘন্টাব্যাপী ওই মুখোমুখি সংঘর্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারসেল ছুঁড়েছেন। এ ঘটনায় শেরপুর জেলা শহরের কলেজ মোড়, খরমপুর, গোয়ালপট্রি, নিউমার্কেট ও থানা মোড় সহ শহরের অর্ধেক দোকানপাট বন্ধ থাকে। এছাড়াও শহরের সকল পয়েন্টে যানচলাচল বন্ধ থাকে। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জানা যায়, চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৭ জুলাই বুধবার দুপুরের পর থেকে কোটা বিরোধী 
ছাত্ররা জড়ো হতে থাকে শেরপুর সরকারী কলেজ এলাকায়। পরবর্তীতে বিকেল ৩টার দিকে শেরপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ গেইট এলাকা থেকে কোটা বিরোধী আন্দোলনে নানা স্লোগান দিতে দিতে মিছিল সহকারে কলেজমোড়-খরমপুর-চকবাজার হয়ে থানামোড় এলাকায় আসে। এসময় পূর্ব থেকেই নিউমার্কেট মোড় এলাকায় অবস্থান করছিলো ছাত্রলীগের সদস্যরা। কোটা বিরোধীদের দাবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর বিনা উস্কানিতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী নারী সদস্য রয়েছে।

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সরব উপস্থিতির মুখে এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটে। এসময় পুলিশ উভয় পক্ষকে সহাবস্থানের চেষ্টা করেন।

পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শহরের থানামোড় এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার সামনে অবস্থান নেয়। এসময় তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ একজন কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীকে আটক করলে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠে। পরে পুলিশ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশ শতাধিক 

টেয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে। আন্দোলনকারীরা গ্যাস থেকে বাঁচতে সড়কে আগুন জালিয়ে দেয়। এখনো শহরে এই নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীদের সাথে সাধারণ মানুষকে যোগ দিতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন পিপিএম জানায়, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আন্দোলনকারীদের হামলায় আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। থানায় নিয়মিত মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

Share icon