শেরপুরে জাল ভিসায় প্রতারণার অভিযোগে পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা
সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
মঙ্গল, 07.11.2017 - 05:50 PM
স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কামারের চর ইউনিয়নের ডুবারচর দক্ষিণ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আজিজুল হকের ছেলে মোঃ আঃ হামিদ কে মধ্য প্রাচ্যর দেশ কাতারে ৭০ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী দেয়ার প্রলোভনে ফেলে পাশ্ববর্তী জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার প্রতারক পিতা মোঃ সাহেব আলী ও ছেলে মোঃ সোলায়মান ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রতারনা করে হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতারিত মোঃ আঃ হামিদ ওই টাকা উদ্ধার করতে না পেয়ে অবশেষে প্রতারক পিতা পুত্রের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয়নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ডুবারচর দক্ষিণ গ্রামের মোঃ আঃ হামিদের সাথে পাশ্ববর্তী মেলান্দহ উপজেলার সোলায়মান এর পরিচয় সূত্রে বন্ধুত্ব’র সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে সোলায়মান আঃ হামিদকে সে জানায় কাতারে চাকুরী দিয়ে লোক পাঠায় এবং দুই বছরের ভিসাসহ প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা বেতন। এমন মিথ্যা আশ্বাস ও উচ্চ বেতনে প্রলোভনে ফেলে আঃ হামিদকে প্রতারক সোলায়মান এমন কথায় তাকে আকৃষ্ট করে।
পরে আঃ হামিদ কাতারে চাকুরীতে যাওয়ার জন্য চলতি বছরের ১৮/০৪/২০১৭ইং তারিখে সোলায়মানের শশুড় বাড়ী শেরপুর সদর উপজেলার কায়াস্থপাড়া গ্রামে, সোলায়মান তার বাবা মোঃ সাহেব আলীর হাতে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। পরে প্রতারক সোলায়মান আঃ হামিদকে ঢাকায় নিয়ে নামে মাত্র মেডিক্যাল রিপোর্ট করায় এবং হামিদকে বলে আগামী ২৯/০৫/২০১৭ইং তারিখে আপনার কাতার যাওয়ার ফ্লাইট।
এদিকে প্রতারক সোলায়মান হামিদকে ওই তারিখে একটি জাল ভিসা হাতে ধরিয়ে দিয়ে কাতারের ফ্লাইটে উঠিয়ে দেয়। পরে হামিদ কাতার গিয়ে বিমান বন্দরে সোলায়মানের লোকজনকে না পেয়ে সোলায়মান ফোন করে এদিকে কোন উত্তর না পেয়ে এবং হামিদ কাতারে এক বাংলাদেশীর সহযোগিতা নেয় এবং জানতে পারে জাল ভিসায় কাতারে এসেছে। পরে ওই বাংলাদেশীর কথামত হামিদ কাতার পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পলাতক জীবন যাপন করতে থাকে।
বিদেশ ভূমিতে পলাতক জীবন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে ৪ মাস পর হামিদ ২৩/০৯/২০১৭ইং তারিখে কাতার পুলিশের কাছে আত্মসর্ম্পন করে। পরে কাতার পুলিশ হামিদকে নিজদেশ বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেয়। হামিদ বাড়ী ফিরে প্রতারক সোলামান তার বাবা সাহেব আলীর এমন প্রতারণার বিষয়ে এলাকাবাসী আত্মীয় স্বজনকে জানায় এবং সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সোলায়মান ও তার পিতা সাহেব আলীকে চাপ দিলে তারা টাকা নেয়নি এবং বিদেশে লোক পাঠানোর কথা অস্বীকার করে।
এঘটনায় আঃ হামিদ সোলায়মানকে আটক করলে পরে কৌশলে পালিয়ে সোলায়মান অপহরণ হয়েছে এমন মিথ্যা অভিযোগ এনে এবং সেই অপকর্ম ডাকতে আঃ হামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ে করে । পরে প্রতারিত মোঃ আঃ হামিদ উপায়ন্ত না পেয়ে অবশেষে প্রতারক পিতা পূত্র’র বিরুদ্ধে শেরপুর সিআর আমলী আদালতে দঃবিঃ ৪০৬/৪২০/১০৬৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে যার মামলা নং- ৫১৪/১৭