যারা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল তাদের মুখে ক্ষমার কথা মানায় না - জামালপুরে ওবায়দুল কাদের
সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
শুক্র, 10.11.2017 - 03:08 PM
এস.এম হোসাইন আছাদ, জামালপুর প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে দেওয়া বক্তব্য প্রসংগে বলেন, আপনি কাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ? আপনার কাছে কে ক্ষমা চেয়েছেন ? শেখ হাসিনা কখনোই কারো কাছে মাথা নত করেন নাই। পনের আগস্টে মবঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনা এবং একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে কারা ছিল বাংলার মানুষ তা জানে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুুরস্কৃত করে বিদেশে পাঠিয়েছেন। ওইসব খুনিদের ক্ষমা করা যায়না।
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামীলীগ আয়োজিত পথ সভায় শুক্রবার তিনি এসব কথা বলেন। সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপি একবার বলে তত্তাবধায়ক সরকার, আবার বলে সহায়ক সরকারে অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। এটা কি মামার বাড়ির আবদার ? নির্বাচন মামার বাড়ির আবদার নয়। বিশে^র অন্যান্য দেশের ন্যায় সংবিধান অনুযায়ী দেশের চলমান সরকারের অধিনেই নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। তিনি আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আর মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে হলে আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে হবে এবং শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হবে। মির্জা আজম এমপি যেমন জামালপুরের অনেক উন্নয়ন করছেন এবং বহু উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু করা হয়েছে। এসব চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড সমাপ্ত করতে এদেশে শেখ হাসিনার সরকার আরেক বার দরকার। শেখ হাসিনাকে আরেকবার ক্ষমতায় রাখতে হবে। তাাই আগামী নির্বাচনে আবারও শেখ হাসিনার নৌকা প্রতিকে ভোট দিবেন।
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হেলিকপ্টার যোগে শুক্রবার দুপুরে মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে নামেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ আয়োজিত পথ সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি এবং জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ইসলামপুরের এমপি ফরিদুল হক খান দুলাল, জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির, পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন পিপিএম, জামালপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন প্রমুখ।