শেরপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের "প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ"
গত ১১ আগস্ট ২০২০ অনলাইন নিউজ পোর্টাল "সময় বিডি টুয়েন্টিফোর ডটকম" এ প্রকাশিত "শেরপুরে স্বাস্থ্য বিভাগে অনিয়মের মহোৎসব !! নাটের গুরু উপ-পরিচালক ডা. পীযূষ" শিরোনামে সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র শেরপুরের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে ডা. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপ-পরিচালক ডাক্তার পিযুস চন্দ্র সূত্রধর, পরিবার পরিকল্পনা শেরপুরকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদটি সঠিক নয়।
প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত আমার সাথে কোনরূপ কথা না বলেই এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই না করে একতরফা ভাবে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। একটি মহল আমাদের সুনাম নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ভুল তথ্য সরবরাহ করে অপপ্রচার করছে।
আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ডাক্তার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক), মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, শেরপুর।
প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ
প্রকাশিত সংবাদটি সংশ্লিষ্টদের তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। শেরপুরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন সময় তদন্ত হলেও বন্ধ হয়নি দুর্নীতি। চিকিৎসার নামে পকেট কাটা হয় রোগীর। সরকারি অর্থ বরাদ্দ, নিরাপদ বাচ্চা প্রসবের আধুনিক ব্যবস্থা সবই আছে এখানে। তবু মানুষ সুফল পাচ্ছে না।
দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। কাজ না হওয়ায় এবারও ফেরত গেছে সরকারি বরাদ্দের টাকা। এ নিয়ে পরপর তিন বছর টাকা ফেরত গেল। একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় , ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য ওষুধ, আসবাবপত্র ও প্রতিষ্ঠানের সংস্কার দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দের অন্তত এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অর্থ নয়ছয়ে বাধার কারণে গত দুই বছর টাকা ফেরত গেছে সরকারি কোষাগারে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সাড়ে চার লাখ টাকা ওষুধ ক্রয়ের জন্য আসে। ক্রয় কমিটির সভা করে কোটেশন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওষুধ কেনার নিয়ম। ওষুধ বুঝে নেবেন শেরপুর সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
কিন্তু এ সব কিছুই করা হয়নি। অর্থবছরের শেষ দিন গত ২৮ জুন ভুয়া বিল-ভাউচারে স্বাক্ষর করতে বলা হয় কমিটির সদস্য ডা. শারমিন রহমান অমিকে। ওষুধ না পাওয়ায় স্বাক্ষর করেননি তিনি।
হাসপাতালের কর্মচারিরা জানান, এভাবে প্রতি বছর শুধু টাকাই তোলা হয়। সরকার শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়ার (ব্রেস্ট ফিডিং) কর্নার নির্মাণের জন্য ৮৫ হাজার টাকা দিলে তা খরচ দেখানো হয়েছে কিন্ত ওই কর্নার হয়নি। এখানে ব্যবস্থাপত্রের নামে চলে টেস্টবাণিজ্য। এক্ষেত্রে রোগী পাঠানো হয় নির্ধারিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। প্রসূতিদের পাঠানো হয় ক্লিনিকে। কমিশনের ভিত্তিতে চলে এসব। অকেজো পড়ে আছে অপারেশন থিয়েটার। গত ২৩ মার্চ এখান থেকে প্রায় ছয় লাখ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করা যায়।
উল্লেখ্য, প্রকাশিত খবর "বাংলাদেশ প্রতিদিন"সহ একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুধু সময় বিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমকে প্রতিবাদ প্রকাশের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এ বিষয়টি দৃষ্টিকটু ও প্রশ্নবিদ্ধ !!
এছাড়া সংবাদে উল্লেখিত ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে ১০ আগস্ট বিকেল ৩.৪২ মিনিটে (১ মিনিট ৪২ সেকেন্ড) ফোনালাপে বক্তব্য নেয়া হয়েছিল যা প্রতিবাদ লিপিতে অস্বীকার করা হয়েছে।