শেরপুরে নাটকীয় অপহরন মামলায় ১১ পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছাড়া ৫ মাস
এ.কে কামরুল,ক্রাইম রিপোর্টার: শেরপুরে নাটকীয় অপহরণ মামলায় ১১ পরিবারের সদস্যরা প্রায় ৫ মাস যাবত এলাকাছাড়া। এতে রয়েছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকীসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।
শেরপুর সদর থানার কামারিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুরের আফু মিয়া বাদী হয়ে তার প্রতিবন্দি পুত্র নাঈম (১২) কে ভিকটিম করে এ মামলা দায়ের করেন।
পারিবারিক শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে আফু মিয়া এ মামলাটি দায়ের করেছে বলে জানান স্থানীয়রা। বিগত ১৯ মার্চ ২০২১ আফু মিয়ার বাক প্রতিবন্দি পুত্র নাঈম কে ঔই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সহ অন্ততঃ ১২ জন অপহরণ পূর্বক নীতি বিহর্গত কাজ করেছে বলে মামলার বাদী দাবী করেন।
সরেজমিনে জানা যায়, ২০২১ সালের জানুয়ারীতে ঔই বাক প্রতিবন্দি নাঈম অজ্ঞাত স্থানে চলিয়া যায়। পরিবারের সদস্যরা নাঈমের নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এলাকা সহ আশে পাশের এলাকায় মাইকিং করেন এবং স্থানীয় ভীমগঞ্জ বাজার হতে পরিচালিত মিতালী ক্যাবলে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিটি দীর্ঘদিন প্রচার হয়। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় অনেকেই ঔই বাক প্রতিবন্দি নাঈমের হারানোর বিষয়ে নাঈমের ছবি দিয়ে প্রচার প্রচারনা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা এ প্রতিবেদককে জানান, বাক প্রতিবন্ধী নাঈম চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে হারানোর পর তার পরিবার সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি অবহিত করেছে। বাক প্রতিবন্ধী নাঈম হারিয়ে যাওয়ার প্রায় ২ মাস পর আফু মিয়াদের সহিত পারিবারিক ভুল বুঝাবুঝিতে নাঈমের গোষ্ঠীর মানুষরা ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সহ অনেককেই আসামী করে অন্ততঃ ৪টি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অনেকেই জামিনে মুক্ত হওয়ায় আফু মিয়া জানুয়ারী মাসে হারানো তার পুত্র ভিকটিম নাঈমকে মার্চ মাসে অপহরণ দেখিয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ওই মামলার প্রধান আসামী কামারিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহল অতি উৎসাহী মনোভাবে মামলাটি করিয়েছে। ইউপি নির্বাচনে আমার নিশ্চিত বিজয় কে নস্যাত করার পায়তারায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির হস্তক্ষেপ রয়েছে এ মামলায়। চলতি বছরের জানুয়ারীতে বাদীর বাক প্রতিবন্দি পুত্র নাঈম হারিয়ে যায় আর বাদীর গোষ্ঠীর লোকজন অন্ততঃ ৪টি মামলা দায়ের করার পর বিশেষ সুবিধার প্রত্যাশায় সাজানো মামলাটি আনয়ন করেন। বাক প্রতিবন্দি নাঈমের জানুয়ারীতে হারানোর বিষয়টি স্থানীয় ভাবে প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘ ৫ মাসেও মামলার মূল রহস্য উদঘাটন হয়নি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আব্দুস সালাম এ প্রতিবেদককে জানান, তদন্তাধীন মামলার তদন্তের স্বার্থে অনেক তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।