শ্রীবরদীতে শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবি চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদের
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী শ্রীবরদীতে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান নিশ্চিতের দাবিতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সাংবাদিক মো. ফরিদুজ্জামান খান (আনারস প্রতিক)। ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মামদামারীস্থ তার নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে জেলা ও শ্রীবরদী উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় ওই দাবি জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তার সুসংহত অবস্থানে ভীতশ্রদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী, বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম নানা ষড়যন্ত্র করছেন। তার কর্মীদের হুমকির পাশাপাশি নিজের বৃহত্তর ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলোতে নৌকা প্রতিকে ভোট দেখে দেখে নেবেন বলেও ভীতি ছড়াচ্ছেন। এতে তার সমর্থকগণসহ সাধারণ ভোটাররা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। তিনি বলেন, গত নির্বাচনে নয়ানী শ্রীবরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মৃত ও অনুপস্থিত ভোটারদের ভোটসহ মোট ৯৮ ভাগ ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে। এছাড়া কুকড়ারপাড় ও কুড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও কারচুপির আশ্রয় গ্রহণ করা হয়েছে। এবার তিনি জনবিচ্ছিন্ন, নানা প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত ও একটি হত্যা মামলায় জড়িয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়ার পরও একই পথ অনুসরণ করে নিজ এলাকার ওই ৩টি কেন্দ্রসহ পার্শ্ববর্তী বালুরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বিজয়ের স্বপ্ন দেখছেন। এজন্য করছেন নানা ষড়যন্ত্র। এজন্য তিনি ওই ৪টি কেন্দ্র চরম ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করে কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠানের স্বার্থে নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রশাসন ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান। তিনি ইতোমধ্যে জেলার অন্য ৩টি উপজেলায় জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে শ্রীবরদীতেও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মধ্য দিয়ে মডেল নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায় গত নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আকরাম হোসেন মন্টু অভিযোগ করে বলেন, গত নির্বাচনে ভোট ডাকাতির কারণে নয়ানী শ্রীবরদী কেন্দ্রের ফলাফল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দিয়েছিল। পরে আব্দুল হালিমের করা আপীলেও ট্রাইব্যুনালের আদেশ বহাল ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে রিটমূলে তা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একাধিক দফায় তিনি বরখাস্ত হলেও একই কায়দায় তা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এমন বিতর্কিত অবস্থার পরও দলও তার বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা করেনি। অথচ সেই জনবিচ্ছিন্ন প্রার্থী এবারও ভোট ডাকাতির ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদুজ্জামান নিজ এলাকাসহ সমগ্র ইউনিয়নে ভোটারদের দোড়গোড়ায় পৌঁছে তাদের আস্থা অর্জন করেছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তার বিজয়ের সম্ভাবনা শতভাগ।
শিক্ষক নাফিউল ইসলাম বিএসসির সঞ্চালনায় সভায় এলাকার অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী-সাংবাদিক সোলায়মান খান মজনু, মোফাজ্জল হক, শাহিন আলম, লুৎফর রহমান প্রমুখ। ওইসময় শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলাসহ জেলা-উপজেলায় কর্মরত অর্ধশতাধিক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।