ভেলুয়া ইউপি'র ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তার দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থী জুবায়েরের
আসন্ন চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ জুবায়ের রহমান (চশমা প্রতিক)। ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভেলুয়া মিজানবাজারস্থ তার প্রধান নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে জেলা ও শ্রীবরদী উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় ওই দাবি জানান তিনি।
তার দাবি, অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো হচ্ছে চরহাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ঝগড়ারচর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, বারারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও চাংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।
মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, এই ইউনিয়নে চলতি মেয়াদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন তারই বড়ভাই মিজানুর রহমান। তার মৃত্যুর দুমাস পরই মারা যান সমাজসেবক পিতা মজিবর রহমান। এত শোকের পরও এলাকার মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও প্রার্থী হয়েছি। কয়েকমাস যাবত মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যেমন পেয়েছি তাদের ভালোবাসা, তেমনি পেয়েছি এলাকাবাসী আমার বিজয়ের জন্য একাট্টা। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর দাপটের পাশাপাশি এখন পাশের বৃহত্তর ওয়ার্ডে একক প্রার্থী করার নামে যে অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে, তাতে শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠান নিয়ে এলাকাবাসী ও ভোটাররা শঙ্কিত হয়ে উঠছেন। তাই শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন ভোট অনুষ্ঠানের স্বার্থে ইউনিয়নের ওই ৪টি কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ইতোমধ্যে জেলার অন্য ৩টি উপজেলায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভোটারদের চাওয়া-পাওয়ার যে প্রতিফলন ঘটেছে, ভেলুয়াতেও একই প্রতিফলন ঘটাতে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই একই সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করবেন।
সভায় সিরাজুল ইসলাম শিকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আকরাম হোসেন মাস্টার, ছামিউল হক খোকা প্রমুখ। ওইসময় শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলাসহ জেলা-উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার অর্ধশতাধিক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।