কলেজ ভবন জুড়েই মৌমাছির নিরাপদ আবাস ॥ যোগান দিচ্ছে বাড়তি আয়ের

নকলা প্রতিনিধি
সোম, 31.01.2022 - 10:36 PM
Share icon
Image

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা কলেজ এখন মৌমাছির নিরাপদ আবাসস্থল। ওই কলেজের ভবনজুড়ে একের পর এক মৌচাকে ভরে গেছে। কলেজের ছাত্র-শিক্ষকরা যেমন মৌমাছিকে বিরক্ত করে না; তেমনি মৌমাছিও কাউকে কামড় দেয়না। শুধু তাই নয় মৌচাক এখন ওই কলেজের বাড়তি আয়ও যোগাচ্ছে।

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে সরিষার আবাদ বেশী হয়ে থাকে। আর সরিষার আবাদ বেশী হওয়ায় এ মৌসুমে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের জন্য অধিকহারে এ এলাকায় অবস্থান করে থাকে। প্রতিবছর সরিষার আবাদ বাড়তে থাকায় মৌমাছির সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। তবে সরিষার আবাদ শেষে মাছিগুলোও চলে যায় অন্যত্র। ২০১৮ সাল থেকে মৌমাছির দল নকলার চন্দ্রকোনা ডিগ্রি কলেজ ভবনকে তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়ে এখানে গড়ে তুলেছে মৌচাক।

Image

স্থানীয় আব্দুল জলিল জানায়, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজের চারতলা ভবনটি নির্মান করা হয় ২০১৮ সালে। নতুন এ ভবন নির্মিত হওয়ার পর থেকেই শীতের শুরুতেই মৌমাছিরা মৌচাক করে কলেজ ভবনে। আর কিছুদিন থাকার পর অন্যত্র চলে যায় মাছিগুলো। প্রথম দিকে মৌচাকের সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে এ কলেজে মৌচাকের সংখ্যা ৭৫ এ দাঁড়িয়েছে। আর এসব মৌচাকে শিক্ষক-ছাত্র কেউ বিরক্ত করে না। তাই মৌমাছিও কাউকে কামড় দেয় না। ফলে সহাবস্থানে থেকে নিরাপদেই চলছে কলেজের কার্যক্রম। এই এলাকার অনেক বাসাবাড়ীর ছাদের কার্নিশ এবং গাছের ডালেও মৌমাছির দল মৌচাক করেছে। এসব চাক থেকে মধু সংগ্রহের পর বিক্রি করে অনেকে যেমন জীবিকা নির্বাহ করছেন তেমনি খাঁটি মধু পেয়ে এলাকার মানুষও খুশি।

চন্দ্রকোনা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, চন্দ্রকোনা বাজারের বিভিন্ন ভবন ও গাছে প্রায় চারশ’ টি মৌমাছির চাক বসেছে। আর কলেজের চারতলা ভবনে মৌমাছির চাক রয়েছে প্রায় ৭৫ টি। এই চাকগুলো প্রতি বছর মৌমাছি এখানে বাসা বাধলেও নিজেরাই সংগ্রহ করে ভাগাভাগি করে নেয়া হতো কিন্তু এবারই প্রথম স্থানীয় যুবকদের কাছে বিক্রি করে ৫২ হাজার টাকা কলেজের রাজস্ব বৃদ্ধি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

মধু ব্যবসায়ী মো. বিপ্লব মিয়া বলেন, আমরা দেশের ভিবিন্ন প্রান্ত থেকে মধু সংগ্রহ করে থাকি। এই এলাকার মধু অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক সুন্দর এবং সুস্বাদু। এই চাক গুলো ক্রয় করে আমরাও ব্যবসায়ীক ভাবে লাভ করেছি।

Share icon