শেরপুরে ফ্লোরের নিচে নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার; শেষ রক্ষা হলো না ব্যবসায়ী এরশাদ আলীর

শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর নয়াপাড়া গ্রামে পরিবেশ বিপর্যয়কারী নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ব্যবসায়ী এরশাদ আলীর নিজ বশত বাড়ির গোডাউন এর মাটির নিচে ২৮শত পলিথিন ব্যাগ মজুদ করে রেখেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। ২৭ মে মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শেরপুরের পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন যৌথ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে ওইসব পলিথিন ব্যাগ জব্দ করেছে।
এসময় পলিথিন ব্যবসায়ীদের গড় ফাদার এরশাদ আলী পালিয়ে যায়। এছাড়াও তার ছেলে মোঃ আল জাহিদ আলীর কাছ থেকে ১০৩ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয় এবং তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান সূত্রে জানা গেছে, এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস ও শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল মোহাম্মদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ সদর উপজেলার কুসুমহাটি নয়াপাড়া গ্রামের জনৈক অমিজ উদ্দিনের ছেলে শেরপুর শহরের নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ী গড ফাদার বলে খ্যাত এরশাদ আলীর বশত বাড়ির গোডাউনে মঙ্গলবার দিনভর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালায়। এসময় তার গোডাউন এর মাটির নিচে একটি সুরক্ষিত গোডাউন থেকে ২৮ শত কেজি পলিথিন উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। এছাড়াও তার ছেলে মোঃ আল জাহিদ আলীর কাছ থেকেও ১০৩ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এঘটনায় মোঃ আল জাহিদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে আরো জানিয়েছে পলিথিন ব্যবসায়ী গড ফাদার মোঃ এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক মামলা রয়েছে। এব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শেরপুর সদর থানায় মঙ্গলবার বিকেলে পলাতক এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।