ষাটোর্ধ্ব সবার জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ
দেশের ষাটোর্ধব সব নাগরিকের পেনশন সুবিধা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে অর্থ বিভাগ কর্তৃক ‘সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন’ বিষয়ক একটি উপস্থাপনা অবলোকন করেন। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গত নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারিসহ সব ধরনের অনানুষ্ঠানিক খাতের ষাটোর্ধ্ব জনগণের জন্য একটি সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়ন এবং কর্তৃপক্ষ স্থাপনের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সবার জন্য পেনশনের ব্যবস্থা রাখার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়, সরকারি যে পেনশন ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে জনসংখ্যার খুব সামান্য একটি অংশ এই সুবিধার আওতায় রয়েছে। দেশের সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের সব কর্মীকে ক্রমান্বয়ে পেনশন সুবিধার আওতায় আনতে শিগগিরই ইউনিভার্সাল পেনশন অথরিটি গঠন করবে সরকার।
এর আগে ২০১৪ সালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও সবাইকে পেনশন সুবিধায় আনতে সরকারের ইচ্ছার কথা বলেছিলেন। অর্থসচিব এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে দেওয়া এক নির্দেশনায় তিনি বলেছিলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত নীতি অনুযায়ী শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই নিয়মিত পেনশন পেয়ে থাকেন। এমনকি আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রেও পেনশনের তেমন ব্যবস্থা নেই। এ প্রেক্ষাপটে বেসরকারি সংগঠিত খাতে একটি পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তনের বিষয়ে আমাদের নজর দিতে হবে।