শেরপুরে এলজিইডি নির্বাহীকে প্রাণনাশের হুমকিতে থানায় জিডি
শেরপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এর কতিপয় ঠিকাদার কর্তৃক প্রাণ নাশের হুমকিতে নিরাপত্তার জন্য এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান শেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। ডায়রি নং-১৯৫৪।
সাধারণ ডায়রিতে উল্লেখ করা হয় যে, সম্প্রতি শেরপুরের ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু গং কতিপয় ঠিকাদার শেরপুর অফিসে এক বছর আট মাস আগে আমার যোগদানের পর থেকেই টেন্ডারবাজি, কাজ না করে বিল ভাউচার উত্তোলন, কাজের নকশা অনুযায়ী কাজ না করা, তাদের কথা মতো বিল না দিয়ে পিস্তল দেখিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি-ধামকি দেখিয়ে আসছে।
এমন কী আমার যোগদানের এক দিন পরেই ছানুয়ার হোসেন ছানু তার প্রতিনিধি ও ঠিকাদার সেলিম তরফদার সুজন জেলা পরিষদের অফিসে আমাকে ডেকে নিয়ে এই বলে শ্বাসান যে, তাদের ইচ্ছামত কাজের সুবিধা না দিলে মানববন্ধন, ঝাড়ু মিছিল ও নারী কেলংকারী সহ অন্যান্য অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি করবে।
ডায়রিতে আরো উল্লেখ্য করা হয় যে, জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলায় একটি রাস্তার কাজ শেষ না করেই চুড়ান্ত বিল প্রদানের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন এবং ঠিকাদার সেলিম তরফদার সুজন মক্কায় হজ্বে গিয়েও মোবাইলে ওই বিল প্রদানের জন্য হুমকি প্রদান করেন। এছাড়া অন্যান্য উপজেলাতেও একই ভাবে বিভিন্ন কাজ না করেই বিল প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।
বিগত ১৪ থেকে ১৫ বছর যাবৎ ঠিকাদার ছানুয়ার হোসেন ছানু গং জেলার বাইরের অন্যান্য ঠিকাদারদের কাজ জোড় পূর্বক বাস্তবায়ন করে আসছে। এরই প্রক্ষিতে ২০১৩ সালে ঠিকাদার সেলিম তরফদার সুজন অন্য জেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিতু ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী এলজিইডি’র অফিস চত্বর থেকে পিস্তল ঠেকিয়ে অপহরণ করে উঠিয়ে নিয়ে যায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ডাকবাংলোয়। সেখানে তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে এবং পরবর্তিতে ওই কাজটিও সুজন বাস্তবায়ন করেন। এঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ বাদল জিডি’র সত্যতা স্বীকার করে জানায়, নিয়ম অনুযায়ী জিডি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হয়। তাই আদালতে ওই জিডি তদন্তের জন্য আবেদন পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনও সে বিষয়ে কোন জবাব পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।