শেরপুর জেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যহতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রে করে জেলা আওয়ামীলীগের সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দর কুমার পালের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রুমানকে দল থেকে অব্যহতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবির রুমান।
এসময় রুমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এজেন্ডা বিহীন নির্বাচনী প্রচারনা সভায় দলীয় পরিপন্থী আমাকে দল থেকে অব্যহতি দেয়। সেইসাথে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং দলের সভাপতিও একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও একজন রাজাকার পুত্র যিনি দলের দপ্তর সম্পাদক তার সাক্ষরে আমাকে অব্যহতি পত্র দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিক এমপি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত হুইপ হয়েও জেলা পরিষদের নির্বাচনী এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, যা নির্বাচনী পরিপন্থী।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু, মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সামছুন্নাহার কামাল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদেরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে রাজাকারপুত্র অভিযোগ করায় তিনি বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছি। উনাকে দল থেকে অব্যহতি দেওয়ার কারনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা-ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়াচ্ছে, যা সত্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল জানায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিকের সভাপতিত্বে নির্বাহী সভার সংখ্যা গরিষ্ট সদস্যের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হয়েছে এবং এলাকায় তার প্রভাব বিস্তারের কোন প্রশ্নই আসে না।