শেরপুরে কানাডা প্রবাসীর জমি বেদখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
শেরপুরে এক রেমিটেন্স যোদ্ধা কানাডা প্রবাসীর ২৫ শতক জমি বেদখল এর প্রতিবাদে এবং তা উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই প্রবাসী। ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে শহরের কসবা মহল্লার কানাডা প্রবাসী মোঃ আশরাফুজ্জামান তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানায়, প্রায় ৩০ ধরে তিনি ও তার পরিবার কানাডায় বসবাস করে আসছেন। এদিকে তিনি ২০১০ সালে পৃথক দুটি দাগে ১৭ ও ১৮ শতকসহ মোট ৩৫ শতক জমি তার নানা বাড়ির ওয়ারিশগণের কাছ থেকে সাব কাবলা ক্রয় করেন। এরপর থেকেই তিনি সকল প্রকার কর-খাজনা পরিশোধ করে আসছেন।
কিন্তু তিনি এবং তার সকল আত্মীয়স্বজন দেশের বাইরে থাকায় ওই জমিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকে। ফলে স্থানীয় দুইজন ভূমিদস্যুর মধ্যে আমার ১৭ শতক জমি পুরোটি একরামউদ্যোলা সেলিম ও জাহাঙ্গীর আলম রুবেল এবং ১৮ শতক জমির ৮ শতক জমি মোঃ ইলিয়াস আলী বেদখল দিয়ে সীমানা প্রাচীর ও ঘরবাড়ি তৈরি করেন।
এদিকে তিনি দীর্ঘদিন পর প্রায় দুই মাস আগে দেশে ফিরে এসে দেখেন তার ৩৫ শতক জমির ২৫ শতক জমি বেদখল হয়ে গেছে। পরে তিনি এ বিষয়ে নানা আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করেও কোন সুফল পাচ্ছে না। সেই সাথে তিনি বেদখলদারদের হুমকি-ধমকিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। পরে তিনি হুমকির বিষয়ে গত ২১ এপ্রিল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-১০১৫) করেছেন। এসব বিষয়ে তিনি অবগত করার জন্য এবং একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে তার বেদখলকৃত জমি উদ্ধারে প্রশাসনেরর হস্তক্ষেপ কামনায় এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে তিনি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে দেশে তার কোন আত্মীয়-স্বজন না থাকায় এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ মশিউর রহমান, সানোয়ার হোসেন, জুলহাস ও হান্নান উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে একজন দখলদার মোঃ ইলিয়াস আলী জানায়, আমি কারো কোন জমি দখল করিনি। আমি আমার ক্রয়কৃত জমিতেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছি। তাকে হুমকি দেয়ার প্রশ্নই আসেনা, কারণ তাকে আমি চিনিই না। এছাড়া তিনি উল্টো অভিযোগকারী বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, তিনি সহ এলাকার অনেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা-মোকদ্দমাসহ নানা অভিযোগ এনে হয়রানি করছেন।