শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরিদ কে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ আগস্ট বুধবার দুপুরে দহেরপাড় বাজারে সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে এলাকার সহাস্রাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপির দেন।
স্বারকলীপি উল্লেখ করেন: আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারী ৬ নং শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের বাসিন্দাগণ এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, ৬ নং শ্রীবরদী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদুজ্জামান অত্র ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় সে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হইয়া তার গুন্ডাবাহিনী কর্তৃক সাধারণ জনগণের ভোট চুরি করিয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। মোঃ ফরিদুজ্জামান চেয়ারম্যান হওয়ার পর হইতে অত্র ইউনিয়ন পরিষদে হত দরিদ্রদের জন্য আসা বিভিন্ন সরকারী চাউল চুরি করা সহ অন্যান্য ফ্রি সুযোগ সুবিধা টাকার বিনিময়ে সম্পাদন করে। অত্র ইউনিয়নে একটি পরিচয়পত্র, ওয়ারিশ সনদ এবং বিভিন্ন সনদের জন্য পরিষদে গেলে উক্ত চেয়ারম্যান সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি না নিয়া অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। সে একজন দুর্নীতিগ্রস্থ, এলাকার সন্ত্রাসীদের গডফাদার, চিহ্নিত চাঁদাবাজ। এলাকায় কোন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন কাজ করিতে আসিলে উক্ত চেয়ারম্যান ঠিকাদারদের কাছে চাঁসা আদায় করে। সরকারী বিভিন্ন সাহায্যের কার্ডের কথা বলে এলাকার নিরীহ লোকদের কাছে টাকা আদায় করে। কোন বিচার শালিসীর জন্য গেলে উক্ত চেয়ারম্যান অর্থের বিনিমিয়ে বিচার করিয়া থাকে এবং টাকার বিনিময়ে মনগড়া ভাবে বিচার কার্য করায় এলাকার সাধারণ জনগণ অতিষ্ট হইয়া পড়িয়াছেন। চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদুজ্জামান সরকারী বিভিন্ন হতদিরদ্রের বিভিন্ন কর্মসচার আওতায় দুঃস্থ্য জনগণের ভিজিএফ, ভিজিডি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা ও বয়স্ক ভাতা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কার্ড দেওয়ার কথা বলে হত দরিদ্র লোকজনের কাছে সে এবং তার চিহ্নিত দালালদের দিয়ে অর্থ নেয়। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি চাউল গোপনে বিক্রি করে। অনেক সময় কতিপয় ভূক্তভোগী লোকজন ৩০এ ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখে এসে চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বিভিন্ন সেক্টরে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে নিরীহ লোকজনদেরকে কাছে টাকা নিয়া উক্ত টাকা আত্মসাত করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন কথা বলিলে রাতের আধারে তার ক্যাডার বাহিনী দ্বারা সাধারণ জনগণকে খুন জখম সহ জনের হুমকি দেয়। এলাকায় কারোও জমিজমার বিষয় নিয়ে বিরোধ থাকিলে টাকার পক্ষে কাজ করিতেন। এবার বৈঞ্চমাবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনের সময় সে বিপক্ষে অবস্থান করেছিল। এসব বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যগণ প্রতিবাদ করিলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান তাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করিত। মোঃ ফরিদুজ্জামান তার দুর্নীতি, চাঁদাবাজী, জোরজুলুম ও দুর্নীতিগ্রস্থ হওয়ায় স্বৈরাচার সরকার পতনের পর এইতে পল এক আছে বিধায় ৬ নং শ্রীবরদী সদর উনিয়ন পষিদের দুর্নীতিগ্রস্থ, দাঙ্গাবাজ, সন্ত্রাসীদের গডফাদার ও জনবিচ্ছিন্ন চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদুজ্জামান কে গ্রেফতার ও তার স্বীয় পদ হইতে অপসারণ পূর্বক এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা সু- নিশ্চিত করতঃ ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্য পরিচালনার জন্য আমরা এলাকার জনসাধারণ জোরদাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে, অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদের কাছে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তারা করেছেন, তার কোন ভিত্তি নেই। গুটি কয়েকজনের ব্যক্তিগত অনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য আমার বিরুদ্ধে এই অফাত প্রথা চালিয়ে যাচ্ছে।