শেরপুর আদালতের হাজতখানা থেকে পালাতক রিমান্ডের আসামি গ্রেফতার
শেরপুরে কোর্ট হাজত থেকে কৌশলে পালিয়ে যাওয়া রিমান্ডের আসামি রাজু আহমেদ (২৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে শহরের নবীনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।
রাজু নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. খোরশেদ আলম।
উল্লেখ্য গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে শেরপুর জেলা জজ আদালত ভবনের হাজতখানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান রাজু আহমেদ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরপরই রাজুকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযানের ১২ ঘণ্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের নবীনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এ বিষয়ে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান জানান, হাজতখানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যাওয়া রাজু আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া এলাকা হতে জাল টাকাসহ পলাতক রাজু আহমেদ এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গুগড়াকান্দি গ্রামের শহিজ উদ্দিন আহালুর ছেলে মো. শাহিন (২৭) ও নকলা উপজেলার ভুরদী গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাবু (৬৫) কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে রিমান্ড আবেদন সহ তাদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আসামিদের প্রত্যেকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভপর্ণা চন্দ।
পরে বিকেল ৪টার দিকে ওই ৩ আসামিকে কোর্ট হাজতে নিয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরই রাজু ও শাহিন কৌশলে পালানোর সময় আদালত অঙ্গনেই আটক হন শাহিন। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য হাজত ইনচার্জ এসআই আব্দুল বারীসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।