শেরপুরে হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী নিহতের স্বজনদের
শেরপুরে অটো চালক আকতার আলী হত্যার একমাস পেরিয়ে গেলেও হত্যা পরিকল্পনাকারী সম্রাটসহ অন্যান্য আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিরাপত্তা হীনতায় আছে নিহতের পরিবার। ঘটনার দিন এলাকাবাসী অভিযুক্ত দুই জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তার করেন। অপরদিকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে আসামি পক্ষের লোকজন নিহতের পরিবারকে। বাকি পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের স্বজন ও গ্রামবাসীরা।
সরেজমিনে জানাগেছে, জেলার সদর উপজেলার ইলশা গ্রামের আইয়ুব আলী ব্যাপারীর ছেলে অটো চালক আকতার আলীকে গত ১৫ অক্টোবর রাতে বাড়ী থেকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে পাশের গ্রামের ছোট ঝাউয়ের চর নামাপাড়া এলাকায় খুন করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে শারীরিক নির্যাতন ও আঘাতের চিহ্নসহ নিখোঁজের দুইদিন পর সকালে নিহত অটো চালকের লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ।
এঘটনায় নিহতের পিতা আইয়ুব আলী ব্যাপারী বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় ৮ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। ওই সময় এলাকাবাসী অভিযুক্ত দু'জনকে আটক করে পুলিশের হস্তর করেন।
(৭ ডিসেম্বর) শনিবার এ প্রতিনিধি সরজমিনে গেলে বাদী পক্ষের লোকজন অভিযোগ করে বলেন, আমাদেরকে আসামি পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে বাদী পক্ষের লোকজনকে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে পুলিশের কাছে উক্ত খুনের সাথে জড়িত সকল আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের অসহায় পরিবার৷
এবিষয়ে মামলার বাদী নিহতের পিতা আইয়ুব আলী ব্যাপারী বলেন, দির্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ২জন ছাড়া বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছেনা। আসামীরা বাইরে থেকে মিথ্যা মামলা দেওয়াসহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমার ছেলে হত্যার সঠিক বিচার চাই।
নিহত আকতার আলীর স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার বলেন, আমার মাত্র ৪ মাস হলো বিয়ে হয়েছে, স্বামী অটো চালিয়ে সংসার চালাতেন। আমি এখন অসহায় অবস্থায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি। প্রশাসনের কাছে দ্রুত আমার স্বামীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারপুর্বক ফঁসি দাবি করছি।
বাদী পক্ষের এডভোকেট মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়া হলে অটোচালক হত্যার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হবে।
এব্যাপারে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুবাইদুল আলম এ প্রতিনিধিকে বলেন, অটোচালক খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ইতিমধ্যে নামিয় ২জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিষ্টারসহ বাকী পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।