শেরপুরে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ! ইউপি ভবন ঘেরাও
শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর সদর উপজেলার ১৪ নং বেতমারি ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন দুলাল মামলা জনিত ও অসুস্থতার কারনে ছুটিতে থাকায় প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আসাদুজ্জামান অপু ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার একদিন পর তার বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর দাবি করে ঝাড়ু মিছিল ও পরিষদ ভবন ঘেরাও করেছে এলাকাবাসী। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের আশপাশের এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগ রয়েছে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় এবং চেয়ারম্যানের প্রিয়জন হওয়ার সুবাদে পরিষদের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়ে অন্য সকল ইউপি সদস্যদের বঞ্চিত করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে এমন কোন কাজ নেই যা সে করেননি। এমনকি স্থানীয় কিছু বিএনপির দলীয় নেতাদের উৎকোচ দেয়ার কারনে তারা অপুকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে বসিয়েছেন। এছাড়াও অপু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ডেলিগেট ভোটার ছিলেন বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
অভিযোগকারীরা আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এমন ব্যক্তিকে এই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাইনা। আমরা বিএনপির নিবেদিত প্রাণ এমন ইউপি সদস্যকে চেয়ারম্যানের আসনে দেখতে চাই। যাতে করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো তার মাধ্যমে উপকৃত হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অপু বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা সঠিক না। সম্পুর্ণরুপে মিথ্যা বানোয়াট। আর আমি কোন দিনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। তবে তিনি নিজেকে বিএনপির ওয়ার্ড সদস্য বলে দাবি করেন।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন অবরুদ্ধ করায় ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ওমর ফারুক বলেন, আমি এ মূহুর্তে চরম আতংকে আছি। এমন পরিস্থিতি থাকলে আমার পক্ষে অফিস করা কোন মতেই সম্ভব না। আমি স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সকল ইউপি সদস্যদের সম্মতির ভিত্তিতে হয়। যাকে প্যানেল চেয়ারম্যান -১ দিয়েছেন সেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। যদি সে স্বেচ্ছায় তার পদ থেকে অব্যাহতি নেয় তাহলে প্যানেল চেয়ারম্যান -২ দায়িত্ব নিবেন। আমি শুনেছি সেখানে আরেকটি পক্ষের লোকজন ঝাড়ু মিছিল করেছেন এবং পরিষদ ভবনও ঘেরাও করেছেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রশাসনের যে ভূমিকা রাখা দরকার সেই ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।