শেরপুরে মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শেরপুর প্রতিনিধি
মঙ্গল, 13.05.2025 - 02:15 PM
Share icon
Image

শেরপুর সদর উপজেলার বলাইয়েরচর ইউনিয়নের ধোবারচর গ্রামের টিকাদার বাড়ির মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার রেলওয়ে ষ্টেশন বাজার এলাকার নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিক গত ৭ এপ্রিল সোমবার সকালে তাদের বাড়ির সম্মুখ থেকে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই বাড়ির সহোদর ভাই মোঃ রফিকুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় ফাসানোর প্রতিবাদে মোঃ রফিকুল ইসলামের মেয়ে কল্পনা খাতুন (১৩ এপ্রিল) মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। 

ওই সময় তিনি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকাবাসীর সম্মুখে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, গত ১০ এপ্রিল আবু বক্কর সিদ্দিকের পরিবারের পক্ষ থেকে আবু বক্কর সিদ্দিককে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার একটি নাটকীয় ঘটনা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন ৮ এপ্রিল তার বাবা নিরীহ মোঃ রফিকুল ইসলামকে আসামী করে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করে ফাঁসিয়েছে তার চাচা মোঃ খলিলুর রহমানের পরিবারের লোকজন। বর্তমানে মামলাটি পিবিআইয়ে তদন্তনাধীন রয়েছে। 

প্রকৃত ঘটনাটি হচ্ছে, আবু বক্কর সিদ্দিকের বাবা মোঃ খলিলুর রহমান, তার ভাই মোঃ রফিকুল ইসলামের কাছে ১১ শতাংশ জমি বিক্রি করে এবং দলিল সম্পাদন করার পর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে দলিলটি রেজিস্ট্রী করে না দেওয়ার ঘটনা নিয়ে টালবাহানা করেন। পরবর্তীতে ওই জমি মোঃ রফিকুল ইসলামের ভোগদখলে থাকে যা বর্তমানে তার দখলে রয়েছে। 

মূলত ওই জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে খলিলুর রহমান তার ভাই রফিকুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করতে থাকেন। ওই সব ঘটনার জের ধরে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক এবং বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা মামলা দেন। পরে আদালত মামলাটি শেরপুর জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশকে তদন্তভার দেয়। এদিকে ডিবি পুলিশ মামলা মিথ্যা ও সাজানো জানতে পেরে মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করলে আদালত ওই মামলা খারিজ করে দেন। 

পরবর্তীতে খলিলুর রহমান এসব করেও ক্ষান্ত থাকেনি। গত ৭ এপ্রিল তার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক অপহরণ এবং হত্যা চেষ্টার একটি মামলা দায়ের করেছেন সহোদয় ভাই রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

এদিকে এলাকাবাসী ও গণমান্য ব্যক্তিদের মন্তব্য মাদ্রাসা ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিক ওইদিন সকাল ৬টায় অপহরণ এবং রাতে ওই গ্রামের আনছার আলীর ধানক্ষেত থেকে নাটকীয়ভাবে উদ্ধার বিষয়টি হাস্যকর ছাড়া কিছুই না বলে এমনটাই তাদের বক্তব্য। অপরদিকে খলিলুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম দুই সহোদর ভাইয়ের একটি মহল এসব ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এমন অভিযোগ করেন তারা। 

এঘটনায় ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বড় মেয়ে কল্পনা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, পিবিআইয়ের সঠিকভাবে তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটন এবং সাংবাদিকদের লিখনীয় মাধ্যমে সত্য সংবাদ ও খবর প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করেন। সেই সাথে মিথ্যা মামলায় তার বাবা রফিকুল ইসলামকে হয়রানির হাত থেকে উদ্ধার পেতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করেন।

Share icon