শেরপুরে শ্রমিক দলের বিক্ষোভ: ১৩ নভেম্বরের ‘লকডাউন কর্মসূচি’ প্রত্যাখ্যান
মারুফুর রহমান, শেরপুর | ১২ নভেম্বর ২০২৫:
পতিত আওয়ামী লীগের ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের কথিত ‘লকডাউন কর্মসূচি’র বিরুদ্ধে শেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শহর ও সদর থানা শ্রমিক দল। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, “এই কর্মসূচি আসলে সরকারের অশুভ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অংশ—যার লক্ষ্য জনগণের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করা এবং ভয়-ভীতি ছড়িয়ে টিকে থাকা।”
বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শেরপুর শহরে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ মিছিলে শতাধিক শ্রমিকদলের নেতা-কর্মী অংশ নেন। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে আওয়ামী লীগের কথিত ‘লকডাউন ষড়যন্ত্র’ প্রতিহতের শপথ নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা তীব্র স্লোগানে মুখর করে তোলে শহর।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন শহর শ্রমিক দলের সভাপতি মাসুদুর রহমান নয়ন। জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সদর থানা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হোসেন আলী এবং সঞ্চালনা করেন জামিল মিয়া।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শহর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলম বাদশা, সদর থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, “পতিত আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন, দমননীতিতে বিশ্বাসী একটি দল। তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এখন তারা জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে।” তারা সতর্ক করে বলেন, “১৩ নভেম্বরের তথাকথিত লকডাউন কার্যকর করতে যারা চোরাগুপ্তা হামলা বা সহিংসতা চালাবে, শ্রমিক দল তাদের কাউকে ছাড় দেবে না।”
আলম বাদশা বলেন, “ লকডাউন নামের ফাঁদ পেতে জনগণের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করছে পতিত আওয়ামী লীগ- এই অপচেষ্টা সফল হতে দেব না।”
হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, “একনায়কতান্ত্রিক আচরণ ও জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতির কারণে আওয়ামী লীগ এখন জনগণের আস্থার বাইরে। শ্রমিক দলসহ সব গণতান্ত্রিক শক্তি মাঠে থেকে এই অপচেষ্টা প্রতিহত করবে।”
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদুর রহমান নয়ন বলেন, “১৩ নভেম্বরের কথিত লকডাউন কর্মসূচি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি ভীতসন্ত্রস্ত ও পতিত আওয়ামী লীগের এক মরিয়া অপচেষ্টা। আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই- জনগণের জীবন ব্যাহত করার এই চক্রান্ত সফল হবে না।”
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমরা প্রস্তুত আছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাড়াবাড়ি করলে তার পরিণাম ভালো হবে না। জনগণের অধিকার রক্ষায় শ্রমিক দল রাস্তায় থাকবে-যে কোনো পরিস্থিতিতে।”
