ব্রিটিশবিরোধী তিন বীরই ছিলেন স্বাধীনতার পথিকৃৎ: শাহজাহান শাহ প্রিন্স
শেরপুরে ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতার দুইশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বীর নেতা করম শাহ, ছপাতি শাহ ও টিপু শাহকে স্মরণে আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার বেতমারি ঘুঘরাকান্দি ইউনিয়নের খুনুয়া মজিবরের মোড় থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাদের উত্তরসূরী পীরজাদা গদীনিশীন সুলতান গাজী শাহজাহান শাহ (প্রিন্স) বলেন, “করম শাহ, ছপাতি শাহ ও টিপু শাহ শুধু ব্রিটিশবিরোধী স্থানীয় তিন যোদ্ধা ছিলেন না; তারা ছিলেন বাংলার স্বাধীনতার প্রকৃত পথিকৃৎ। তাঁদের দুঃসাহস, আধ্যাত্মিক শক্তি ও নেতৃত্ব জাতিকে মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়েছিল। ”তিনি ব্রিটিশবিরোধী এ তিন বীরের অবদান পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বেতমারি ঘুঘরাকান্দি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. সাগর আলী বলেন, “এই তিন বীরের সংগ্রাম নতুন প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রেরণা দেয়। দুইশ বছর পূর্তির এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তাঁদের স্মরণ করা আমাদের দায়িত্ব ও গৌরব।”
বিশেষ অতিথি ভাতশালা ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মকবুল মিশরী বলেন, “ব্রিটিশ শাসনের দমন-পীড়নের সময় শেরপুরের মানুষকে আন্দোলনে সংগঠিত করেছিলেন করম শাহ, ছপাতি শাহ ও টিপু শাহ। তাঁদের আদর্শ আজও সামাজিক ন্যায় ও মানবিকতার পথ দেখায়।”
অনুষ্ঠানে ফারুক মিয়া, নাশাত ফকির, শাহাদুল ফকিরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, দুই শতাব্দী আগের তাঁদের বীরত্ব আজও স্বাধীনতার চেতনায় মানুষকে উজ্জীবিত করে।
পরে বীরদের জীবন, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ নিয়ে স্মৃতিচারণ হয়। স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরের মতো স্মরণসভা হলেও দুই শতাব্দী পূর্তি উপলক্ষে এ বছরের আয়োজন ছিল আরও বর্ণিল, স্মৃতিময় ও আধ্যাত্মিক আবহে ভরপুর।
