ইতালি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
শনি, 10.02.2018 - 10:13 PM
সময় ডেস্ক।। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সরকারি সফরে ইতালিতে যাচ্ছেন রোববার। ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) এর পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিতে সকালে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি। ইফাদ-এর প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হুনগবো’র আমন্ত্রণে এ অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
পোপ ফ্রান্সিসের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা হলি সি (ভ্যাটিক্যান সিটি) সফর করবেন, সেখানে তিনি পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও সফর সঙ্গীদের নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট রোমের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। ফ্লাইট স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। রোমে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী প্রায় দু’ঘণ্টার জন্য দুবাইয়ে যাত্রাবিরতি করবেন।
পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রী ১২ ফেব্রুয়ারি ভ্যাটিক্যান সিটি সফর করবেন। তিনি সেখানে সেক্রেটারি স্টেট অব ভ্যাটিক্যান সিটি কার্ডিনাল পেইটরো পারোলাইনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর আগে পোপ ফ্রান্সিস শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে গত ৩১ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করেছেন। আইএফএডি’র গভর্নিং কাউন্সিলের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘ফ্রম ফ্রাজিলিটি টু লং টার্ম রেজিলেন্স : ইনভেস্টিং ইন সাসটেইনেবল রুরাল ইকোনমিকস’। প্রধানমন্ত্রী মূল প্রবন্ধে তার সরকারের সাফল্য এবং কৃষি খাতের অর্জন তুলে ধরবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী যুব উন্নয়ন, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন এবং এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের ভূমিকার জন্য তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা রোমের পারকো দেই প্রিনসিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড এসপিএ প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী আবুধাবি হয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে থাকবেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোর গ্রামীণ এলাকার দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে ইফাদ একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। ১৯৭৪ সালে বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনের সিদ্ধান্তে ১৯৭৭ সালে একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইফাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং খাদ্য ও পুষ্টির মানোন্নয়নে গত ৩০ বছর যাবত রোমভিত্তিক এ সংস্থা বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। ইফাদ মঞ্জুরি ও সহজ ঋণ হিসেবে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৭৮২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।