শেরপুরে সুদের টাকার দ্বন্দ্বে পুলিশের এএসআই এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কেকেরচর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও বর্তমানে শেরপুর পৌরসভার গৌরীপুর মৈত্রবাড়ি মহল্লায় বসবাসকারী এবং রাজধানী ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহজাহানপুর থানায় কর্মরত এএসআই মোঃ এনামুল কবির ওরফে তোতা কর্তৃক চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে ৯ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১টায় মেসার্স বিসমিল্লাহ মালেশিয়ান ফার্ণিচার গ্যালারী এর স্বত্বাধিকারী মোঃ হারুন-অর-রশীদ খাঁন জেলা শহরের সজবরখিলা মোড় (রং মহল সংলগ্ন) তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সম্মুখে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেসার্স বিসমিল্লাহ মালেশিয়ান ফার্ণিচার গ্যালারী এর স্বত্বাধিকারী মোঃ হারুন-অর-রশীদ খাঁন। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের এএসআই বিপি নং ৮৫০৫১১২১৬ মোঃ এনামুল কবিরের সাথে পরিবারিকভাবে পরিচয়ের সুবাধে ব্যবসায়ী কাজে জেলা শহরের সজবরখিলা মহল্লার ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ৪ লাখ টাকা সুদে নেন। এর পরবর্তীতে কয়েক মাস এএসআই মোঃ এনামুল কবির ওরফে তোতাকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে সুদের লভ্যাংশ প্রদান করেন। পরে এনামুল করিব ওরফে তোতার স্ত্রী মোছাঃ শামীমা খাতুন শিল্পী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভারতে চিকিৎসার জন্য ব্যবসায়ী হারুন অর রশীদ খানকে টাকা ফেরত দিতে চাপ দেন। এসময় তিনি তার সজবরখিলার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে গত ১৯/১০/২০২৪ইং তারিখে তিনজন স্বাক্ষীর মোকাবেলায় আসল টাকাসহ ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা এএসআই মোঃ এনামুল কবির ওরফে তোতাকে পরিশোধ করে বুঝাইয়ে দেন। এদিকে এনামুল কবির ওরফে তোতা তার সমস্ত টাকা নেয়ার পর পুনরায় গত ৬/৪/২০২৫ইং তারিখ রাত ৯টার দিকে সে সহ ৩/৪ জন সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে ব্যবসায়ী হারুন অর রশীদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং কাক্সিক্ষত টাকা না দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এছাড়াও তার মাদ্রাসা পড়ুয়া সন্তানকে মাদ্রাসায় যাবার পথে অপহরণ করে নিয়ে যাবে বলেও এমন হুমকি দেয় বলে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ করেন। এদিকে এএসআই মোঃ এনামুল কবির ওরফে তোতার এমন হুমকি-ধামকির বিষয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে অবশেষে আইনের আশ্রয় নিতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হারুন অর রশীদ খাঁন ৮/৪/২০২৫ইং তারিখে বাদী হয়ে এএসআই মোঃ এনামুল কবির ওরফে তোতাকে একমাত্র আসামী করে শেরপুর সি.আর আমলী আদালতে একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেছেন, যার মামলা নং ৪৪০/২০২৫।
অপরদিকে অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে এএসআই মোঃ এনামুল কবির ওরফে তোতা ব্যবসায়ী মোঃ হারুন অর রশীদ খাঁনের সকল অভিযোগ স্বীকার করেন। এছাড়াও তিনি বলেন, হারুন অর রশীদ খাঁনের সাথে তার কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি। দেনদেন হয়েছে তার স্ত্রী মোছাঃ শামীমা খাতুন শিল্পীর সাথে। কিন্তু হারুন রশীদ খাঁন শামীমা খাতুন শিল্পীর কাছ থেকে নেওয়া হাওলাদি কোন টাকা পরিশোধ করেননি। তার সামাজিক সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য হারুন রশীদ খাঁন সংবাদ সম্মেলনে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।