শেরপুরে ওসিসহ ২৬ পুলিশ করোনায় আক্রান্ত - মোট শনাক্ত ২৪৯ ।। সময় বিডি২৪
সময় ডেস্ক নিউজ: শেরপুরে নতুন করে করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি থানার সরকারি বাসায় আইসোলেশনে আছেন। শনিবার করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ২৬ পুলিশ সদস্য সহ জেলায় মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ২৪৯ জন।
করোনা প্রতিরোধে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে মাঠে-ময়দানে কাজ করছিলেন ওসি মামুন। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের শুরুতেই শেরপুর সদরে প্রবাসী ফেরতদের কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা, জনগনকে করোনা সচেতন, লকডাউন কার্যকর করা, করোনা আক্রান্ত পরিবারে খাদ্য সামগ্রী উপহার, করোনা রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে ভুমিকা পালন করে ব্যাপক আলোচিত হন।
এর আগে একবার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেও ২ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে শেরপুরের ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় কেবল ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনের কভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে।
এ নিয়ে জেলায় ২৬ পুলিশ সদস্য সহ মোট করোনা আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ২৪৯। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন চারজন। মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৭৩১, রিপোর্ট প্রাপ্তি ৩৬১২, রিপোর্ট হয়নি ১১৯। শেরপুরে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা আক্রান্তের হার ৭ শতাংশ, সুস্থ্যতার হার ৮১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আনওয়ারুর রউফ।
সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ বলেন, শেরপুরে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ৫ এপ্রিল শেরপুরে প্রথম দুই নারীর দেহে কভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় শেরপুর সদরের অবস্থান শীর্ষে, এ উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০২। এরপর নালিতাবাড়ীর অবস্থান, এ উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩। এছাড়া নকলায় ৪৭, ঝিনাইগাতী ২৫ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ২২ জন রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৯ চিকিৎসকসহ ৪২ জন স্বাস্থকর্মী, ২৬ জন পুলিশ সদস্য ও একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আনওয়ারুর রউফ করোনা সংক্রমণরোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন হলে সকলকে মাস্ক পড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।