প্রধানমন্ত্রীর দেয়া শেরপুরের সেই ভিক্ষোক পেলেন বাড়ি দোকান ও চিকিৎসা সুবিধা
স্টাফ রিপোর্টারঃ মহামারি করোনায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গান্ধিগাওঁ গ্রামেরর ভিক্ষুক নাজিমদ্দিন জীবনের শেষ সম্বল তার ভিক্ষা করা জমানো ১০ হাজার টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে দেন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য দান করে অন্যন্ন নজির গড়ে ছিলেন ভিক্ষুক নাজিমদ্দিন। সেই খবর বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রচারের পর প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে জেলা প্রশাসককে উদার মনের নাজিমদ্দিনের জন্য জমি সহ একটি বাড়ী উপহার দেওয়ার নির্দেশ দেন।
সেই নাজিমদ্দিনের হাতে আজ জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব নতুন বাড়ীর চাবি ও একটি দোকান ঘর মালামাল সহ এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে একটি অটোরিক্সা হস্তান্তর করলেন। আর এতো সব উপহার পেয়ে ভিক্ষুক নাজিমুদ্দিনের চোখে আনন্দ অস্রু।
শেরপুরের সিমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গান্ধিগাওঁ গ্রামের হত দরিদ্র ভিক্ষুক নাজিমুদ্দিন। ভিক্ষাবৃত্তিই যার পেশা স্থানিয় একটি এনজিওর কাছে করোনা মহামারির কথা শুনে রুগ্ন দেহের এই বড় মনের মানুষটি তার জমানো শেষ সম্বল ১০ হাজার টাকা তার মাথা গুজার ভাঙ্গা ঘড়টি মেরামত করার জন্য তিলে তিলে ভিক্ষে করে জমিয়ে ছিলেন। সে টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ত্রান তহবিলে দান করে অনেক বিবেকবান মানুষের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।
সেই নাজিমুদ্দিনকে প্রধান মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির সেই বাড়ির চাবীটি তার হাতে তুলে দিলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক। আর নাজিমুদ্দিনের জন্য তার গ্রাম গান্ধিগাও এর লোকজন অনেক আনন্দিত।
অপরদিকে ভিক্ষুক নাজিমুদ্দিন বাড়ীর চাবী পেয়ে অনেকটা খুশি ,তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রানভরে দোয়া করলেন।একটি বার প্রধান মন্ত্রীর সাথে দেখা করে তার পায়ে সালাম করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক জানালেন প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ এর পর নাজিমুদ্দিনের বাড়ীর কাজ শেষ করে তার চাবী তুলে দিতে পেরে তারাও অনেক আনন্দিত। এবং তিনি জানান জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে একটি মুদি দোকান তার অভাব অনেকটাই মিটে যাবে।