শেরপুরে এড. লিটনের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
মঙ্গল, 25.08.2020 - 11:25 PM
Share icon
Image

স্টাফ রিপোর্টারঃ শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া তালুক পাড়া গ্রামের আইনজীবি এরশাদ আলী লিটনের উপর স্থানীয় খাঁ গোষ্ঠীর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে গত ২৩ আগষ্ট শেরপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখিত বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে খাঁ গোষ্ঠীর অপকর্মের খবর প্রকাশিত হয়।

স্থানীয় খাঁ গোষ্ঠীর মোঃ আব্দুর রহিম খান ঐ সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে গত ২৪ আগষ্ট শেরপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে গত ২৫/০৮/২০ ইং তারিখে কিছু দৈনিক সংবাদপত্র ও স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে এডভোকেট এরশাদ আলী লিটনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এডঃ এরশাদ আলী লিটন লিখিত প্রতিবাদ লিপিতে জানান, স্থানীয় খাঁ গোষ্ঠীর মোঃ আব্দুর রহিম খান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্নরূপে ভিত্তিহীন, মিথ্যা, বানোয়াট, বিদ্বেষমূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকাশিত সংবাদের কারনে আমার সামাজিক মর্যাদা ও সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে।

আমি দীর্ঘদিন যাবত  উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে ইংল্যান্ডে ছিলাম। গত দুই বছর যাবত দেশে এসে আমি আইনজীবি পেশাকে বেছে নিয়ে বিপদগ্রস্ত সাধারন মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আমার এলাকা  চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া তালুকপাড়া মহল্লায় সমাজ সেবাসহ নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে আসছি।

আমার বিরুদ্ধে উল্লেখিত প্রচারিত সংবাদের তথ্যের সাথে আমি আদৌ জড়িত নই। অভিযোগকারীরা বিভিন্ন সময় আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করে অনৈতিক ভাবে অর্থ দাবীসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা আমার বাড়ি ঘর আক্রমণ ও লুটপাটসহ আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে।তাদের অন্যায় অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত নাহওয়ায় তারা এই অশোভনীয়, নিন্দনীয়, ষড়যন্ত্রমূলক আচরনের প্রতিফলন ঘটায়। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদকারী আব্দুর রহিম খানের ছেলে মোঃ রিতু  একজন মাদক ব্যাবসায়ি। জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ জি-আর কোর্টে একটি মাদক মামলা চলমান আছে (মামলা নং:৩৮-২-২০)।

লিখিত প্রতিবাদ লিপিতে এড. লিটন আরও জানান, খাঁ গোষ্ঠীর সকল অপকর্মের হোতা এসিল্যান্ড নাহিদ হাসান খান। তিনি বর্তমানে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কর্মরত আছেন। যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের তৎকালীন কামরুজ্জামান'র ফাঁসির পর সারাদেশে কোথাও গায়েবি জানাজা নাহলেও এসিল্যান্ড নাহিদ হাসান খান'র তত্ত্বাবধানে তাহার পিতা নাসির খান ও চাচা সুলতান খানের নেতৃত্বে এলাকায় প্রকাশ্যে গায়েবী জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।  

আমি এডভোকেট এরশাদ আলী উল্লেখিত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

Share icon