"বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইকোপার্ক" স্থাপন শেরপুর বাসীর প্রাণের দাবী
স্টাফ রিপোর্টারঃ শেরপুর জেলা সদরের চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ব্যাঙের মোড় ডাকপাড়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় ঘেঁষে সরকারী একশত একর জমির উপর মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইকোপার্ক স্থাপন এখন শেরপুরবাসীর প্রাণের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এলাকাবাসী ইকোপার্কের প্রস্তাবিত একটি সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন। চরপক্ষীমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আকবর আলী, অত্র এলাকার নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসী জানান এখানে একটি ইকোপার্ক হলে সরকারী সম্পত্তি বেদখল হবে না।
ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করার বালি যেন শেরপুরের অংশে ফেলে নীচু অংশ ভরাট করা হয় এবং একটি বেড়িবাধ নির্মাণ করা হয়। বেড়িবাধ নির্মাণ করলে নদী ভাঙ্গন থেকে এলাকা রক্ষা পাবে, নদীর গতিপথ ঠিক থাকবে।
সেখানে একটি ইকোপার্ক নির্মাণ হলে সরকারী জমি বেদখল হতে রক্ষা পাবে, সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। শেরপুর সদরে বিনোদনের কোন স্থান না থাকাতে নদীর পাড়ে ইকোপার্ক হলে শেরপুরবাসীর দর্শনীয় বিনোদনের স্থান হবে। জীববৈচিত্র, নদীর সৌন্দর্য মানুষ অবলোকন করতে পারবে। পশু পাখির কোলাহলে মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি হবে।
প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইকোপার্ক এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, এলাকাটিতে ইকোপার্ক নির্মাণ হলে বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য ইকোপার্ক হবে।
খবর নিয়ে জানাযায়, এই ইকোপার্ক স্থাপনের জন্য জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিউর রহমান আতিক এমপি, জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসনের সমর্থন ও সর্বাত্বক প্রচেষ্টা রয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর শুরুতেই তারা ইকোপার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চরপক্ষীমারীর বাসিন্দা মোঃ কুতুব উদ্দিন বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় হুইপ আতিক এমপি, জেলা প্রশাসক মহোদয়, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট আমাদের দাবী অত্র এলাকাতে ইকোপার্কটি স্থাপন করা হোক”।
শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিউর রহমান আতিকের সাথে যোগাযাগ করা হলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর শুরু থেকেই ইকোপার্ক স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা হয়েছে এবং ইকোপার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রস্তাব পাঠানো হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেরপুরবাসীর উপর যে আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা রয়েছে তারই ফলশ্রুতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইকোপার্কটি স্থাপনের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে হুইপ আতিক দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, শেরপুর সদরে বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই, নদী ভাঙ্গন রোধ, পুরাতন বেড়িবাধ নির্মাণ, জীববৈচিত্র, নদীর সৌন্দর্য দেখার জন্য নদী ঘেষে ইকোপার্কটির স্থান নির্ধারিত স্থানে ইকোপার্কটির কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে খুবই দৃষ্টিনন্দন হবে এবং বঙ্গবন্ধুর নামে শেরপুর বাসীর নিকট একটি দর্শনীয় স্থান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।