শেরপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আ’লীগ নেতা আধারের আনুষ্ঠানিক প্রার্থিতা ঘোষণা
স্টাফ রিপোর্টার॥ ঐতিহ্যবাহী শেরপুর পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে এবার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারের আনুষ্ঠানিক প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়েছে। ১১ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় শহরের খোয়ারপাড় শাপলাচত্ত্বর মোড়ে যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা যুবলীগ আয়োজিত এক সমাবেশে ওই প্রার্থিতা ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু।
ওইসময় তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভায় দলের দায়িত্বশীল নেতারা যোগ্যতম প্রার্থী দিবেন বলেই সচেতন মহলসহ দলের গণতান্ত্রিক একটি অংশ ভাবছিলেন। আর সেজন্য প্রায় ২ মাস আমাদের অপেক্ষা ছিল। কিন্তু সেই আশা এখন পরাভূত হওয়ায় এবং দলে নবীন ও অপরিপক্কদের নিয়ে প্রার্থী করার চিন্তার কারণেই আমাদেরকে দলের পরীক্ষিত ও যোগ্যদের মধ্য থেকে বিশিষ্ট সংগঠক ও শিক্ষানুরাগী রফিকুল ইসলাম আধারকে প্রার্থী ঘোষণা করতে হল।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানসহ দলের গণতান্ত্রিক অংশের নেতারা ঐক্যমতে পৌঁছেই তাকে সমর্থন দিয়েছেন। এখন যোগ্যতা ও বৃহৎ এলাকার মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সকল প্রস্তুতি নিয়ে মনোনয়ন লড়াইয়ে জিততে হবে। ওইসময় তার ওই আহবানে উপস্থিত সহস্রাধিক দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ লোকজন হাত তুলে সাড়া দেন।
সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক তাপস কুমার সাহা, জেলা যুবলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইফতেখার হোসেন কাফী জুবেরী, শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাছান।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সম্রাট বলেন, দলীয় সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে দলের ত্যাগী, পরিচ্ছন্ন ও যোগ্য নেতাদের মূল্যায়নে বদ্ধপরিকর, যা বিভিন্ন এলাকায় বাস্তবায়িতও হচ্ছে। তাই শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনেও যদি শেখ হাসিনার দর্শন বাস্তবায়িত হয়, তবে ত্যাগ, পরিচ্ছন্ন ও যোগ্যতার প্রশ্নে এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারকেই দলীয় মনোনয়ন দিতে হবে। কারণ তিনি তৃণমূল থেকে তিলে তিলে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। দলের পাশাপাশি আইনজীবী ও সাংবাদিক সমাজের শীর্ষ পদে প্রতিনিধিত্বসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেকে দীর্ঘদিন যাবত নিয়োজিত রেখেছেন। নির্লোভী ও পরিশ্রমী হওয়ার কারণে সচেতন মহলসহ সাধারণ মানুষের আস্থা কুড়িয়েছেন।
একই সমাবেশে মেয়র মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার বলেন, প্রথমতঃ সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়ে মনোনয়ন যুদ্ধে লড়াই করব। এরপরও বৃহৎ এলাকার মানুষের আশা-আকাঙ্খার জলাঞ্জলি হলে তাদেরকে নিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতাসহ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।
এর আগে ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নিজ বলয়ের নেতারা তাকে পৌর মেয়র পদে মনোনয়ন লড়াইয়ে সমর্থন দেন। ওইসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-১ হুমায়ুন কবীর রুমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।