শেরপুরে জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী আধারের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা-মডেল পৌরসভা প্রতিষ্ঠায় ৩৫টি বিশেষ অঙ্গীকার
স্টাফ রিপোর্টার॥ ঐতিহ্যবাহী শেরপুর পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী, জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
এ উপলক্ষে ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে শহরের দমদমা কালিগঞ্জ এলাকাস্থ প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার উন্নয়ন পরিকল্পনা ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ ৩৫টি বিশেষ অঙ্গীকার সম্বলিত ওই ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।
লিখিত ওই নির্বাচনী ইশতেহারে একটি পরিচ্ছন্ন, নান্দনিক, ডিজিটাল ও সাম্যভিত্তিক মডেল পৌরসভা প্রতিষ্ঠায় তিনি বদ্ধপরিকরÑ জানিয়ে মেয়রপ্রার্থী এডভোকেট আধার বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে পৌরসভার উন্নয়ন পরিকল্পনায় সংশ্লিষ্ট মহল্লা/ওয়ার্ডের নাগরিকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং মহল্লাভিত্তিক নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা কমিটি গঠন করা হবে।
সেইসাথে পৌরসভার টেকসই যোগাযোগ ব্যবস্থা, যানজট নিরসন, পুরো পৌরসভায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নতকরণ, গণশৌচাগার/ওয়াশরুম স্থাপন, শহরের প্রবেশমুখ থেকে ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়া, মশক নিধন, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে জবাবদিহিতায় মাসিক গণশুনানীর আয়োজন, পরিবেশ রক্ষায় সবুজায়ন, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত পৌরসভা গঠনসহ পৌর নাগরিকদের নানা সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাবেন তিনি।
সেইসাথে হতদরিদ্র ও মুক্তিযোদ্ধাদের পৌরকর মওকুফ, মানসম্মত শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিবেশ বজায় রাখা, মাদক ও কিশোর অপরাধ, ইভটিজিং, নারীর প্রতি সহিসংতা দমনে এলাকাভিত্তিক নাগরিক কমিটি গঠন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণ, জনবহুল স্থানে মাতৃদুগ্ধ দানের জন্য ব্রেস্টফিডিং কর্ণার স্থাপন, শিশু-কিশোরদের খেলার মাঠ তৈরি করা হবে।
এছাড়াও শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোতে যানজট কমাতে এবং পথচারীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ, শহরের মৃগী নদীর তীরে ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের আদলে হাঁটার রাস্তাসহ বিনোদন পার্ক স্থাপন, পুরো পৌরসভা ওয়াই-ফাই ও সিসিটিভির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতিও দেন মেয়রপ্রার্থী আধার।
ইশতেহার ঘোষণা শেষে মেয়র প্রার্থী আধার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ওইসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী প্রচারকাজে নৌকা প্রতীকের পক্ষে দলের একটি অতি উৎসাহী অংশ তার প্রচারণার মাইক ভাঙচুর, কেন্দ্র ভাঙচুরসহ বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করছে। তারপরও জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলে ভোটারদের ভোটে তিনিই জয়ী হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।