শেরপুরের নকলায় ব্রিধান-৮৯ এর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি: শেরপুরের নকলা উপজেলায় ২টি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ মে উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ভূরদী গ্রামে বোরো আবাদের ব্রিধান-৮৯ এর প্রদর্শনীর মাঠ দিবস এবং চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের দক্ষিন বাছুরআলগা গ্রামে আউশ আবাদের ব্রিধান-৪৮ এর ওপর মাঠ দিবস হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নকলা উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ভূরদী ব্লকের কৃষক আলহাজ্ব মো. ছাইদুল হকের বাড়ির আঙ্গীনায় এবং বাছুরআলগা ব্লকের কৃষক নেজামুল হকের বাড়ির আঙ্গীনায় এ মাঠ দিবস দুটি অনুষ্ঠিত হয়।
ভূরদী ব্লকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবাািয়ত বেরো ধান প্রদর্শনীর মাঠ দিবসে কৃষক আলহাজ্ব মো. ছাইদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের ময়মনসিংহ অঞ্চলের মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মো. রিয়াজুল বারী, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রোকসানা নাসরিন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মনি ও কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মুসা।
সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আশরাফুল আলম, কৃষি বিষয়ক পল্লী কবি আব্দুল হালিম, নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসেন, কার্যকরী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন ও সিমানুর রহমান সুখনসহ স্থানীয় শতাধিক কৃষক-কৃষানী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদনে উদ্যোক্তা তৈরী করাসহ কৃষকদের উৎপাদিত বীজ সংরক্ষণ ও বিতরণ কৌশল সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করতে এ মাঠ দিবস করা হয়। তিনি জানান, ভূরদী গ্রামে বোরো আবাদের ব্রিধান-৮৯ প্রতি হেক্টরে ১০ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছে; যা প্রতি একরে ১০০ মন। তাছাড়া প্রদর্শনী মাঠের কলাকৌশলে মাধ্যমে বোরো ধানের আবাদ করায় উৎপাদন খরচ শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ কমেছে। কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য পর্যায়ক্রমে অর্জিত হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।