ঝিনাইগাতীতে ২হাজার গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে সহায়ক সংঘ নামে এক কোম্পানী উধাও
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ২ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি টাকা সঞ্চয় হাতিয়ে নিয়ে সহায়ক সংঘ নামে এক কোম্পানী উধাও হয়েছে। গত রবিবার ওই হায় হায় কোম্পানীটি অফিস গুটিয়ে নিয়ে উধাও হয়। ফলে ওই কোম্পানির ২হাজার সদস্য এখন হায় হায় করছে।
জানা গেছে, দাড়িয়ারপাড় গ্রামের আল হারুন ও বাকাকুড়া গ্রামের আব্দুল মালেক গত প্রায় এক বছর পুর্বে উপজেলা সদর বাজারে একটি অফিস ঘর ভাড়া নিয়ে সহায়ক সংঘ নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ঋনদান কর্মসুচির নাম করে সদস্য ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেন। আকর্ষণীয় বেতন ভাতা দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে ৩০ জন মাঠ কর্মিও নেয়া হয়। মাঠ কর্মীদের কাছ থেকে নেয়া হয় মোটা অংকের অর্থ। এসব মাঠ কর্মিরা ৫ হাজার টাকা সঞ্চয় হলে ৫০ হাজার টাকা ঋন দেয়ার প্রলোভনে সদস্য ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে। ইতিমধ্যেই ২ হাজারের উপরে সদস্য ভর্তি হয়।
হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা ঋণ পাওয়ার আশায় ধার দেনা করে ৫ /৭ হাজার টাকা সঞ্চয় দেন। আর ঋন দেয়ার সময় হলেই অফিস গুটিয়ে নিয়ে উধাও হয় সহায়ক সংঘের কর্মকর্তা, কর্মচারিরা। গত রবিবার ঋণ নিতে এসে গ্রাহকরা দেখতে পান অফিসে তালা ঝুলানো। এ অবস্থা দেখে সদস্যরা হায় হায় শুরু করেছেন।
ওই সহায়ক সংঘের পরিচালক আল হারুনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা থেকে তিনি বলেন সংস্থাটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু কোন কার্যক্রম ছিলো না। এ কারনে রেজিষ্ট্রেশন করা হয়নি। উপজেলা সমবায় অফিসের অনুমতি নিয়ে ২০২০ সালে কর্মকান্ড শুরু করি। তিনি বলেন বর্তমানে তাদের সংঘের সদস্য সংখ্যা রয়েছে ২হাজার। কর্মচারী রয়েছে ২৫ জন। তিনি বলেন আমরা গা -ঢাকা দেইনি। সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে অফিস ভাংচুর করায় আমরা আতংকিত হয়ে পরেছি। একারনে অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা সঞ্চয় নিয়েছি। সদস্যদের মাঝে ৫ লাখ টাকা ঋণ বিতরন করা হয়েছে। গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরৎ দেয়া হবে।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রুকুনুজ্জামান বলেন, সহায়ক সংঘ নামে কেউ আমাদের সমবায়ের অনুমতি নেয়নি। বিষয়টি তাদের জানা নেই বলে জানান। তিনি আরও বলেন ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অনেকেই সুদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। অনুসন্ধ্যানে গেলে কাউকে খুজে পাওয়া যায় না। ফলে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না।