শেরপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করার সময় শেরপুরে জেলা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে। ২২ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ডিসিগেইট মোড়ে এ সংঘর্ষ হয়।
জেলা বিএনপির একাধিক নেতার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে দলীয় কোন্দল চলে আসছিলো। এরই অংশ হিসেবে আজ দুপুরে দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য দুই গ্রুপ একত্রিত হওয়ার পর প্রথমে হাতাহাতি থেকে শুরু হয়ে রুপ নেয় মারামারিতে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের জন্য যাচ্ছিলাম। এসময় জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম মাসুদের কিছু সমর্থক আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমার অন্তত ৭/৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ঘটনায় সময় জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তার পর থেকেই সেই গ্রুপের নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জুনিয়র-সিনিয়রদের দাড়ানোর বিষয় নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। এখানে আমার কোন হাত নেই। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটা মহল।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ জানান, শেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের সময় ডিসি গেইটের সামনে বিএনপির দুই গ্রুপের সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে উভয় গ্রুপের লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।