শ্রীবরদীতে তীব্র গরমে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ বালাই

স্টাফ রিপোর্টার
মঙ্গল, 19.07.2022 - 04:22 PM
Share icon
Image

শেরপুরের শ্রীবরদীতে তীব্র গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে বিভিন্ন এলাকার জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে চলছে এ অবস্থা। কোথাও কোথাও দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেও গরমের তীব্রতা থেকে রেহাই মিলছে না। আর তাপপ্রবাহের তীব্রতায় উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই।

উপজেলা সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকাসহ গ্রামাঞ্চল গুলোতে মারাত্মকভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে বমি, ঠান্ডা, কাশি ও ডায়রিয়ার রোগী। এতে রোগীর চাপ বেড়েছে উপজেলার একমাত্র চিকিৎসা সেবাস্থল শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এছাড়াও গুরুতর তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভুগান্তি বেড়েছে রোগীদের।

১৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ওয়ার্ড সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মেডিসিন, মহিলা, পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ড মিলে আসন সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক রোগী। এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। তবে আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যা করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

এব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দা তানজিনা আফরিন ইভা বলেন, তীব্র গরমের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন উপজেলার মানুষ। যে কারণে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। ভর্তি রোগীর পাশাপাশি গত কয়েকদিনে আউটডোরে কয়েকশ মানুষ জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুদের নিয়মিত গোসল করাতে হবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোনোভাবেই শিশুদের শরীর ঘামতে দেয়া যাবে না। এজন্য তাদের পাতলা কাপড় পরাতে হবে।

নয়ানী শ্রীবরদী থেকে আসা রোগীর অভিভাবক জসিম উদ্দিন বলেন, আমার মেয়ের ডায়রিয়া হয়েছে। হাসপাতালে আসছি তিনদিন হলো তবে কোন উন্নতি হচ্ছে না।

উপজেলা হাসপাতাল সংলগ্ন গৃহবধূ সাবিনা খাতুন বলেন, কয়দিন আগে আমার স্বামীর জ্বর অয়। পরে পোলাডার জ্বর। অহন আমার জ্বর অইছে। ডাক্তার কইছে, আমার টাইফয়েড। শরীর ব্যাথা করে। দুর্বল অইতাছে। মাথা ঘুরায়।

Share icon