শেরপুরে কিশোরীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মূল হোতা গ্রেপ্তার - র্যাবের প্রেস ব্রিফিং
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বস্তাবন্দি অবস্থায় পুকুরের পানি থেকে মিম আক্তার নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আল আমিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। গতকাল বুধবার রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া কামারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৪ সিপিসি-১ কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে নিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া এলাকার কালঘোষা নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে ভিকটিমের গলায় উড়না পেচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মিমের লাশ বস্তাবন্দি করে পার্শ্ববর্তী সাঈদ মিয়ার পুকুরে নিয়ে ফেলে রাখে। র্যাবের নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামি আল আমিনকে দ্রততম সময়ের মধ্যে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই রোববার বিকেলে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে বাকাকুড়া আদর্শগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মিম আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পিতা মমিন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাবে-১৪।