শেরপুরে ভোক্তা অধিকার অভিযানে ফিলিং স্টেশনে এক লক্ষ টাকা জরিমানা
শেরপুরে ফিলিং স্টেশন গুলোতে পরিমাপক যন্ত্রে কারসাজি করে জ্বালানি তেল কম দেয়ার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে শেরপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ১০ আগষ্ট বুধবার দুপুরে শেরপুর জেলা শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকার মমিনবাগ সার্ভিস স্টেশনে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু দাম বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে পেট্রোল ও অকটেন পরিমাপে কম বিক্রি করছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শহরের মমিনবাগ সার্ভিস স্টেশনে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় প্রতি ৫ লিটার পেট্রোলে ২৭০ মিলিলিটার পেট্রোল পরিমাপে কম দেয়ায় ওই স্টেশনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে তেল বিক্রিতে কারসাজি না করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের শেরপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. রুবেল মাহমুদ বলেন, ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মমিনবাগ ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালানো হয়েছে। তারা তাদের পরিমাপক যন্ত্রে কারসাজি করে তেল কম দিচ্ছিলো। ফিলিং স্টেশনের এমন কারসাজি প্রমাণিত হওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৭ ও ৪৮ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় এই ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এর পর মধ্যরাত থেকেই সেই বর্ধিত দাম অনুযায়ী জ্বালানি তেল বিক্রি শুরু হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্ববাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির খবরে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে শেরপুর জেলা শহর। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এরমধ্যে পরিমাপক যন্ত্রে কারসাজি করে জ্বালানি তেল কম দেয়ার অভিযোগ উঠার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে। এসময় ক্রেতারা প্রতিষ্ঠান মালিকদের শুধু জরিমানা নয়, শাস্তির আওতায় আনারও দাবি জানান। অভিযানে জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।